৪০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে ২০ টাকায় চামড়া বিক্রি

রাজবাড়ী চামড়া আড়ত। ছবি: স্টার

সারাদেশের মতো রাজবাড়ীতেও আছে কয়েকটি চামড়ার আড়ত। সারাবছর টুকটাক বেচা-কেনা হলেও, মূলত কোরবানি ঈদ থাকে তাদের লক্ষ্য। এসময় চামড়া বেচা-কেনা করে কিছু লাভ হয়।

ক্রমবর্ধমান চামড়ার বাজার ধসের কারণে রাজবাড়ীর ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপদে। অনেকেই লোকসান গুনে দেনায় জর্জরিত। কেউ কেউ ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। ঈদের সময় কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী দেখা যায়, এবার তাদেরও তেমন চোখে পড়েনি।

তেমনি চোখে পড়েনি মাদ্রাসার ছাত্রদের। প্রতি বছর মাদ্রাসা থেকে চামড়া সংগ্রহ করতে পোষ্টার, হ্যান্ডবিল দেওয়া হতো, এবার তাও চোখে পড়েনি।

রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবু মোল্লা জানান, তারা এক লাখ দশ হাজার টাকা দিয়ে গরু কোরবানি দিয়েছেন। চামড়ার দাম পেয়েছেন মাত্র চারশ টাকা।

গঙ্গাপ্রসাদপুরের আব্দুল লতিফ জানান, তার গরুর চামড়া মাত্র দুইশ টাকায় বেচতে হয়েছে। চামড়ার টাকা মূলত এতিম, দরিদ্ররা পেয়ে থাকেন, এবার তারা এই টাকা থেকে বঞ্চিত।

কামালপুর থেকে একটি খাসীর চামড়া নিয়ে এসেছেন বাবর আলী। মাত্র বিশ টাকা দাম হওয়ায় তিনি অবাক। কারণ, তার রিকশা ভাড়া দিতে হয়েছে চল্লিশ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় রাজবাড়ীর চামড়া ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের কাছে। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘পরপর কয়েক বছর চামড়ার খারাপ বাজার যাছে। এই দুই বছরে কমপক্ষে দশ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। চারশ টাকার একটা চামড়া কিনলে একশ টাকা লবণ, লেবার  ও ঘর ভাড়ায় লাগে। প্রতি বর্গ ফুট চামড়ার পেছনে পঞ্চাশ টাকা খরচ হয়। সরকারের বেধে দেওয়া দামে কেনা সম্ভব হয় না। খুবই আতঙ্কে আছি, কত টাকা বিক্রি হয় তা নিয়ে।’

এসব আড়তে প্রতি বছর তিন চার হাজারের মতো চামড়া আসলেও এবার কোরবানি কম হওয়ার দুই আড়াই হাজারের বেশী চামড়া আমদানি হবে না মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

4h ago