ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সুস্থতার জন্যে খাদ্য

ছবি: সংগৃহীত

এডিস মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়৷ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু।

গত সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৭ হাজার ৫৭১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৩ জন।

ডেঙ্গু হলে সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশী ও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে৷

ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর এই সময় খাবারের প্রতিও বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে৷

যে খাবারগুলো বেশি খেতে পারেন:

পেঁপে পাতা

পেঁপে পাতা পাপাইন ও কাইমোপাপেনের মতো এনজাইম সমৃদ্ধ, যা হজমে সাহায্য করে এবং প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ডাবের পানি

ডেঙ্গু জ্বরের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ডাবের পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইটসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান৷

ডালিম

ডালিম পুষ্টি ও খনিজ সমৃদ্ধ ফল। এটি শরীরের ক্লান্তিভাব কমায়। ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও ডালিম প্লাটিলেট কাউন্ট বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে হলুদ একটি উপকারী খাদ্য উপকরণ। ১ গ্লাস দুধের সঙ্গে ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে এটি দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।

মেথি

মেথি সহজে ঘুমাতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি অতিমাত্রার জ্বর কমিয়ে আনে, যা ডেঙ্গুর একটি সাধারণ লক্ষণ। তবে মেথি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কমলা

কমলা ও অন্যান্য ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ডেঙ্গু জ্বরে অত্যন্ত উপকারী। কমলায় ভিটামিন-সি ছাড়াও রয়েছে এন্টি এক্সিডেন্ট, যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ব্রকলি

ব্রকলি ভিটামিন-কে এর একটি চমৎকার উৎস, যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যদি প্লাটিলেট কাউন্ট অতিমাত্রায় কমে যায় তাহলে ডেঙ্গু রোগীর দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ব্রকলি রাখা যেতে পারে।

পালং শাক

পালং শাক আয়রন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

যেসব খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ:

তৈলাক্ত বা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার

ডেঙ্গু জ্বর হলে তৈলাক্ত ও বেশি মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে হালকা তেল মশলায় রান্না করা খাবার খাওয়া উচিৎ। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণ হতে পারে।

ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়

এই সময় শরীরে প্রচুর তরল প্রয়োজন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে যাওয়া ভালো। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় দ্রুত হৃৎস্পন্দন, ক্লান্তিভাব ও পেশীর ভাঙন সৃষ্টি করে। তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে রিল্যাক্সিং ফ্লুইড খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

নুসরাত জাহান, পুষ্টিবিদ

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

1h ago