বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রকৃত অর্থে বিএনপি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে।
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রকৃত অর্থে বিএনপি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে।

রাজপথে বিএনপির কোনো অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তাদের অস্তিত্ব শুধু ফেসবুক আর অনলাইনে।

ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, তবে তা ব্যালটের মাধ্যমে নয়, ভিন্ন কোনো অগণতান্ত্রিক এবং চোরাগলি পথে। বিএনপি আরও একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর। এ দেশে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে হয় না।'

আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বক্তব্য আত্মঘাতী প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপি এখনো পুরনো ধুসর পথে হাঁটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না। নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

যারা গুজব ও অপপ্রচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে তাদের চেহারা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে আটকা পড়েছে। তাইতো তারা এখন উভয় সংকটে, না পারছে আন্দোলন জমাতে, না পারছে নির্বাচনে যেতে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তৃণমূল থেকে নাম প্রেরণের ক্ষেত্রে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু কিছু স্থানে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূল একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের মনোনয়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা তারপর জেলা হয়ে কেন্দ্রে নামের সুপারিশ আসে।

ওবায়দুল কাদের জানান, এর আগে নাম তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ স্বজনপ্রীতি ও লোভের বশবর্তী না হয়ে এবং প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য গোপন না করে নাম প্রেরণের জন্য দলীয় ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

8h ago