৮৪ রানের পর মাহমুদউল্লাহদের এবার ৭৩

আসর যতো গড়াচ্ছে, ততোই যেন নিম্নমুখী হচ্ছে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অন্তত একটা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ব্যর্থতার বৃত্তেই রয়েছে টাইগাররা। আজও ভেঙে পড়েছে তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। এদিনও একশ করতে পারেনি দলটি।

বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৫ ওভারেই মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। 

এদিন শুরু থেকেই ভেঙে পড়ে বাংলাদশের লাইন আপ। কার্যত কোনো ব্যাটারই পারেননি দায়িত্ব নিতে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শামি হোসেন পাটোয়ারি ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ উইকেটে সেট হয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই।

পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে দুই ব্যাটার আউট হন ইনসাইড এজ হয়ে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে টেনে মিচেল স্টার্কের বোল্ড হন লিটন দাস। আর জশ হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হন সৌম্য সরকার।

দুই পেসারের বলে যেমন তেমন পার্টটাইম স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলও সামলাতে পারেনি তারা। স্পিন খেলায় পারদর্শী দেশসেরা ব্যাটার মুশফিকুর রহিম পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও অপর প্রান্তে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটিং কিছুটা আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু হ্যাজলউডের বলে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন প্যাট কামিন্সের হাতে।

এরপর অ্যাডাম জাম্পার ঘূর্ণিজালে পড়ে বাংলাদেশ। সেই লেগস্পিন জুজু। আসর জুড়ে টানা ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা আফিফ হোসেন তার গুগলি বুঝতেই পারেননি। সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন স্লিপে থাকা অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের হাতে। খালি হাতে ফিরেছেন এদিনও।

ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। রানের গতি সচল রাখার চেষ্টা করে ২৯ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু জাম্পার বলে থামে শামিমের প্রতিরোধ। ঠিক পরের বলে শেখ মেহেদী হাসানকেও ফেরান এ স্পিনার। তাতেই ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।

বড় ধাক্কাটা পরের ওভারে খায় বাংলাদেশ। ফিরে যান শেষ ভরসা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। স্টার্কের বলে উইকেটের পিছে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর খুব একটা আগাতে পারেননি লেজের ব্যাটাররাও। লেজ ছাঁটাইয়ের কাজটা ভালোভাবেই করেন জাম্পা।

দলের মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। শামি সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন। নাঈম ১৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৬ রান করেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের হতাশায় ডুবিয়ে ১৯ রানের খরচায় ৫টি উইকেট তুলে নেন জাম্পা। স্টার্ক ও হ্যাজলউড ২টি করে উইকেট পান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ৭৩ (নাঈম ১৭, লিটন ০, সৌম্য ৫, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ১৬, আফিফ ০, শামিম ১৯, মেহেদী ০, তাসকিন ৬*, মোস্তাফিজ ৪, শরিফুল ০; স্টার্ক ২/২১, হ্যাজেলউড ২/৮, ম্যাক্সওয়েল ১/৬, কামিন্স ০/১৮, জাম্পা ৫/১৯)