চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ ফ্লাইওভারে ফাটল, আতঙ্কে স্থানীয়রা

ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া/ স্টার

চট্টগ্রাম বন্দরের চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) এবং টোল এক্সেস রোডের সঙ্গে সংযুক্ত ফ্লাইওভারের ২টি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল ধীরে ধীরে বড় হতে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্লাইওভারে যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে, তা মেরামতযোগ্য। এটি গুরুতর নয়।

সওজ কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১ দশমিক ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০ দশমিক ৬ মিটার চওড়া এ ফ্লাইওভারটি ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালের ১৫ মে শুরু হয়ে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১১ সালের ৩১  ডিসেম্বর।

এর মধ্যে ফাটলের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফ্লাইওভারের বিভিন্ন পয়েন্টের লোহার প্লেট ও রাবার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে ফ্লাইওভার এলাকা পরিদর্শন করে দ্য ডেইলি স্টার দেখতে পায়, ফ্লাইওভারের জয়েন্ট অংশের অনেক জায়গায় লোহার প্লেট ও রাবার নষ্ট হয়ে আছে। ফ্লাইওভারের ওপর অনেক ভারি যানবাহন পার্ক করা। ফাটল দেখা যাওয়ায় স্থানীয়রা যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন।   

সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার ব্যবসায়ী সোলাইমান শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা কয়েকদিন আগে ফাটল দেখেছি, যা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।'

ওই এলাকার ট্রাক চালক মো. রাশেদ বলেন, 'ফাটল তো আছেই। পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফ্লাইওভারের বিভিন্ন জয়েন্টের লোহার প্লেট এবং রাবারও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট।'

লরি চালক নুর হোসেন বলেন, 'এ ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ি চালানো কঠিন। ফ্লাইওভারের বেশিরভাগ জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত। কেউ আমাদের কথা কানে নেয় না।'

ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া/ স্টার

ফাটলের জানতে চাইলে সওজের চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল ওয়াহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি স্ট্রাকচারাল ড্যামেজ নয়। ফ্লাইওভারের আনুভূমিক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে, যা মেরামতযোগ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার সওজের ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট উইং-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শিশির কান্তি রাউৎ এবং ব্রিজ ডিজাইন সার্কেলের সুপারিন্টেনডিং ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফাটল গুরুতর না হওয়ায় আমরা ফ্লাইওভারের ওপর এবং নিচে যানবাহন চলাচল বন্ধ করিনি।'  

সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, 'ফ্লাইওভারে যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে, তা মেরামতযোগ্য।আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ফাটল মেরামত করব।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সওজের এক প্রকৌশলী বলেন, 'রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফ্লাইওভারের বিভিন্ন পয়েন্টের লোহার প্লেট ও রাবারগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ফ্লাইওভারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সওজকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা বলছেন, ফান্ডের সমস্যার কারণে তারা ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে পারছেন না।'

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

17h ago