সিনেমার চরিত্রে রাজীব স্মরণীয় হয়ে থাকবেন
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা রাজীবের মৃত্যুর ১৭ বছর পেরিয়েছে। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৪ সালের আজকের দিনে মারা যান তিনি।
দর্শকদের স্মৃতিতে আজও অম্লান এক নাম রাজীব। কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'দাঙ্গা' সিনেমায় খলনায়কের অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন এই অভিনেতা।
পরিচালক কাজী হায়াৎ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাজীব একজন শক্তিশালী অভিনেতার নাম। তার শব্দের স্পষ্ট উচ্চারণ আর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অন্যদের থেকে তাকে আলাদা করে পরিচিতি এনে দিয়েছিল। আমার পরিচালনায় ১৯৮২ সালে "খোকন সোনা" সিনেমায় প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। এখন চলচ্চিত্রের কোথাও তাকে নিয়ে আলোচনা দেখি না। তবে সিনেমার অসংখ্য চরিত্রে রাজীব স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।'
রাজীবের মতো এমন জনপ্রিয় খলনায়ক ঢাকাই চলচ্চিত্রে আর আসেনি। বাংলা চলচ্চিত্রে একটি গভীর শূন্যতা তৈরি হয়েছিল তার মৃত্যুতে।
তার পুরো নাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। সিনেমায় শুধু রাজীব নামেই পরিচিত ছিলেন। চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করে অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেলেও অন্য চরিত্রেও সাবলীল অভিনয় করেছেন তিনি।
'হীরামতি', 'দাঙ্গা', 'বিদ্রোহ চারিদিকে' ও 'সাহসী মানুষ চাই' সিনেমার জন্য মোট ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব। 'খোকন সোনা' ও 'দাবি' চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে ছিলেন তিনি। এরপর আর নায়ক হিসেবে অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাকে।
রাজীব অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে— দাঙ্গা, বুকের ভেতর আগুন, ভাত দে, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, ভণ্ড, উছিলা, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, জবরদখল, লুটতরাজ, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, অনন্ত ভালোবাসা প্রভৃতি।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন রাজীব। অভিনয় ছাড়াও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
Comments