সেই রাবি শিক্ষার্থী পার্থ আর বেঁচে নেই

পার্থ সারথির পাশে মা বিদদু বালা রায়। ছবি: স্টার

বেঁচে থাকার জন্য তার ছিল আকুতি, ছিল আকাঙ্ক্ষা। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী পার্থ সারথি রায়।

আজ বুধবার সকাল ৭টায় নিজ বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের দেউতিরহাট গ্রামে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন পার্থ। তিনি কিডনির জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে পড়েছিল।

মৃত্যুর আগে বিছানায় শুয়ে পার্থ সারথি রায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়ে বলতেন, 'আমি পার্থ। আমি বাঁচতে চাই। আমি পড়তে চাই।'

কিন্তু পার্থর বেঁচে থাকার আকুতি পূরণ হলো না। পূরণ হলো না তার পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্নও।

২০১৩ সালে বাবা ভবেশ চন্দ্র রায় মৃত্যুবরণ করার পর স্কুলজীবনে পার্থ কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। ২ বছর বন্ধ রাখার পর আবারও পড়াশোনা শুরু করেন। ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। পড়াশোনা করে তার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন ছিল প্রবল।

তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল পার্থের দরিদ্র পরিবারের পক্ষে। রাবি শিক্ষার্থীরাও কাজ শুরু করেছিলেন তার চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহে। তারা আলোকচিত্র প্রদর্শন করে সংগ্রহ করেন ২ লক্ষাধিক টাকা। স্থানীয়রাও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন পার্থের চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহে।

কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করার আগেই পার্থ সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন। আর কাউকে বলতে শোনা যাবে না, 'আমি পার্থ। আমি বাঁচতে চাই। আমি পড়তে চাই।'

সন্তান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পার্থের মা বিদদু লতা রায়। আর ছোট ভাইকে হারিয়ে দিশেহারা হয়েছে পড়েছেন বড় ভাই শৈলেন্দ্র নাথ রায়।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago