নেপালি ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে আইএফআইসি

টেকসই ব্যবসার কোনো সম্ভাবনা দেখতে না পাওয়ায় নেপালের একটি ব্যাংকের ৪০ শতাংশের বেশি শেয়ার বিক্রি করবে আইএফআইসি ব্যাংক।

টেকসই ব্যবসার কোনো সম্ভাবনা দেখতে না পাওয়ায় নেপালের একটি ব্যাংকের ৪০ শতাংশের বেশি শেয়ার বিক্রি করবে আইএফআইসি ব্যাংক।

নাবিল ব্যাংক নামের ওই বেসরকারি ব্যাংকটি নেপাল বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড (এনবিবিএল) অধিগ্রহণ করবে। যেখানে আইএফআইসি ব্যাংকের ৪০ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার আছে।

আইএফআইসি ব্যাংক এর মধ্যে এনবিবিএলে করা বিনিয়োগ প্রত্যাহারের জন্য শেয়ার বিক্রির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, আইএফআইসি ব্যাংক এনবিবিএলে থাকা তার পুরো শেয়ার বিক্রির জন্য আলোচনা শুরু করেছে।

এতে বলা হয়, এ বিষয়ে সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছে। এনবিবিএলে আইএফআইসি ব্যাংকের প্রায় ৪ কোটি ১২ লাখ শেয়ার আছে।

নেপালের গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারগুলো কিনবেন নাবিল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন বিনিয়োগকারী বিনোদ চৌধুরী। ২ ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বিনোদ চৌধুরী নেপালের শীর্ষ ধনী হিসেবে পরিচিত। তিনি দেশটির প্রথম বিলিয়নিয়ার। একীভূতকরণ চুক্তি হওয়ার পর শেয়ার কিনবেন তিনি।

এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকটি সই হয় গত ২৯ ডিসেম্বর। এর ১ দিন পরেই আইএফআইসি ও এবিবিএল ব্যাংকে ২টি পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আইএফআইসি ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নেপালে তাদের বিনিয়োগটা ঠিক টেকসই হচ্ছে না। অবশ্য এর কারণগুলো সম্পর্কে কিছু বলেননি তারা।

ফিসকাল নেপাল নামের হিমালয়ের দেশটির একটি নিউজ পোর্টালের তথ্য অনুসারে, এনবিবিএল গত অর্থবছরের জন্য ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এনবিবিএল একটি যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি। ১৯৯৪ সালে তারা ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। সে সময় ব্যাংকটিতে আইএফআইসি ব্যাংকের প্রায় ৫০ শতাংশ শেয়ার ছিল।

একীভূত হওয়ার খবর আসার পর বুধবার এনবিবিএলের শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে।

নিউ বিজনেস এজ নামের একটি মাসিক ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, এনবিবিএলের প্রতি শেয়ারের দাম ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৪০২ নেপালি রুপিতে পৌঁছেছে।

এদিকে গতকাল রোববার ডিএসইতে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারের দাম ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ১৮ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

অনুবাদ করেছেন মামুনুর রশীদ

Comments