ভূমিহীন শিল্পীদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করবো: জায়েদ খান

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন অভিনেত্রী নিপুণ।
জায়েদ খান। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন অভিনেত্রী নিপুণ।

আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে তার লক্ষ্য, প্রত্যাশা, চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

জায়েদ খান। স্টার ফাইল ফটো

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এবারে আপনার লক্ষ্য কী?

আমাদের কিছু ভূমিহীন শিল্পী আছেন। তারা পুরো জীবন সিনেমার কাটিয়ে দিয়েছেন। তবে, ভালো পারিশ্রমিক পাননি। এবার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলে তাদের জন্য বাসস্থানের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবো। এটা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলবো।

গতবারের নির্বাচনেও এই বিষয়টি ছিল আপনাদের ইশতিহারে?

গতবার আমরা নির্বাচনের আগে যে কয়টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার সবগুলো পালন করেছি। শুধু এই কাজটি পারিনি করোনা মহামারির কারণে। কারণ তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। কিন্তু, করোনার কারণে তার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। তবে, এবার এটাই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

চলচ্চিত্রের জন্য কী করবেন?

চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবো।  বিশেষ করে সিনেমা হলের উন্নয়ন, সিনেমার সংখ্যা বাড়ানো— যদিও এগুলো শিল্পী সমিতির কাজ না। শিল্পী সমিতির কাজ শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করা। তারপরেও চলচ্চিত্রের জন্য এসব করবো আমরা।

করোনা মহামারির সময়ে অসহায় শিল্পীদের জন্য কী করেছেন?

করোনা মহামারির সময় আমাদের কিছু সহশিল্পী অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। তারা মানুষের কাছে হাত পাততেও পারছিলেন না, আবার সংসারও চালাতে পারছিলেন না। শিল্পী সমিতির পক্ষে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং এখনো আছি তাদের পাশে।

করোনার সময় যেখানে ছেলে তার বাবার মরদেহ ফেলে পালিয়েছে, তখন আমরা কিংবদন্তি শিল্পী থেকে শুরু করে যারা চলে গেছেন, সবার মরদেহ নিজের হাতে গোসল করিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেছি। এন্ড্রু কিশোরের জন্য তার মারা যাওয়ার পর করোনার মধ্যেই ভালোবাসার টানে রাজশাহী চলে গেছি।

zayed-khan
অভিনেতা জায়েদ খান। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

অনেকেই অভিযোগ করেন, সিনেমার চেয়ে আপনি শিল্পী সমিতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন?

এই অভিযোগ যে ঠিক তা বলা যাবে না। আমি সমিতিকে ভালোবাসি, তাই সমিতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। আমি ছাত্র জীবনে বিভিন্ন সংগঠন করেছি। তাই সংগঠন নিয়ে আমার ভালো লাগা আছে।

সংগঠন করে কারো বিরুদ্ধে তো কিছু করিনি। যা করেছি সমিতির ২১ জনের মতামতের ভিত্তিতে করেছি।

শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন শিল্পীকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে।

এ বিষয়ে আমি কোনোভাবেই অভিযুক্ত না। এই শিল্পীদের বাদ দেওয়া হয়নি, তাদের সহযোগী শিল্পী করা হয়েছে। এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। তারপর একটা নির্বাচন হয়েছে। এতোদিন পরে কেন এটা আদালতে গেল? আদালত বলেছেন, তাদের যথেষ্ট কাগজপত্র নেই। এই বিষয়ে একটা শোকজ এসেছে। এটা আসতেই পারে। এর বেশি কিছু না।

Comments

The Daily Star  | English

Dubious cases weaken quest for justice

A man named Labhlu Mia was shot dead in the capital’s Uttara during protests on the morning of August 5.

53m ago