ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু: দেশে ফিরেছে শরীয়তপুরের বাপ্পীর মরদেহ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ঠাণ্ডায় মারা যাওয়া কামরুল হাসান বাপ্পীর (২১) মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। আজ রোববার বিকেলে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফখরুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া তালিকায় বাপ্পীর ঠিকানা মাদারীপুর উল্লেখ করা থাকলেও, বিমানবন্দর ও পরিবার সূত্রে বাপ্পীর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত ২৫ জানুয়ারি ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসায় যাওয়ার পথে হাইপারথার্মিয়া বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ৭ বাংলাদেশি মারা যান। বাপ্পীসহ তাদের ৩ জনের মরদেহ দেশে পৌঁছল।

গতকাল শনিবার মাদারীপুরের জয় তালুকদার ও শুক্রবার এমরান হাওলাদারের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে স্বজনরা গ্রহণ করেন।

আজ বিমানবন্দরে বাপ্পীর মরদেহ নিতে আসেন বাবা আবুল বাশার।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাপ্পী গত বছরের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইটে প্রথমে দুবাই পৌঁছায়। সেখান থেকে সে লিবিয়ায় যায়।'

লিবিয়া থেকে নৌকায় যাত্রা শুরুর আগে বাপ্পীকে বাংলাদেশি ও লিবিয়ান পাচারকারীরা ২ মাস জিম্মি করে রাখে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, পাচারকারীদের মোট ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

বাপ্পীর ভগ্নীপতি মো. শরীফ ডেইলি স্টারকে জানান, ২৮ জানুয়ারি ফোনে সিলেটের এক প্রবাসীর কাছ থেকে তারা তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।

পরে স্থানীয় প্রশাসন ও ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বাপ্পীর মারা যাওয়ার খবর শুনে দাদা স্ট্রোক করে মারা গেছেন এবং তার মাও বর্তমানে শয্যাশায়ী বলে জানান শরীফ।

Comments

The Daily Star  | English

Torch procession at DU demanding justice for JCD leader Shammo

The procession, under the banner of "Students Against Terrorism", began around 8:20pm

1h ago