‘শিল্পী সমিতির রাজনীতিতে এসে যা করার দরকার তাই করছি’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছেন নায়িকা নিপুণ আক্তার। কিন্তু, শিল্পী সমিতির হয়ে নিয়মিত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হন নিপুণ আক্তার। কথা বলেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদসহ নির্বাচন পরবর্তী পরিকল্পনা এবং নতুন সিনেমা নিয়ে।
নতুন সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না, অথচ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার দখল নিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শনের কথা শোনা যায়। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে। তাই এখন যদি এটা মেনে নিই তাহলে আগামীতে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সিস্টেম ব্রেক করতে হলে অনেক দলাদলি, অনেক মতবিরোধ থাকবে। অনেকেই অনেকে কথা বলবেন, অনেক কিছু শোনা যাবে। কিন্তু, আমি মনে করি আমরা ঠিক কাজটি করেছি।
তাহলে কি শিল্পী ক্ষমতার প্রদর্শনের কথা সত্য?
আমি আসলে জানি না, কী ক্ষমতা দেখালাম। কোথায় ক্ষমতা দেখিয়েছি। কেউ যখন আইনিভাবে আমার বিরুদ্ধে কিছু করবে আমার তো উচিত সেটার প্রতিবাদ জানানো। আমি সেটা না করে কেন চুপচাপ বসে থাকব? আমি যে অভিযোগ করেছি তা সত্য। এ কারণে তারা আগে আদালতে গিয়েছে, আমি পরে গিয়েছি।
শিল্পী সমিতির আগের কমিটির সঙ্গে প্রশাসনের আনাগোনা বেশি ছিল। এখন সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীদের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। এর কারণ কী?
আমার আব্বা সরকারি আমলা ছিলেন। তাই সরকারি কর্মচারীদের আমার প্রতি একটা সফট কর্নার আছে। তারা এখানে আসতেই পারে। আগে যিনি ছিলেন (জায়েদ খান) তার ভাই পুলিশের মানুষ ছিলেন, তাই পুলিশের আসা-যাওয়া ছিল। এখানে অন্যায় কিছুতো দেখছি না। এটা খারাপভাবে দেখারও কিছু নেই।
শিল্পী সমিতির বাইরে নায়িকা হিসেবে নিপুণকে আবার কবে সিনেমার পর্দায় দেখব?
আমার ৪টা সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে 'বীরত্ব' ও 'রাসেলের জন্য অপেক্ষা' মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। সিনেমা মুক্তি পেলে অবশ্যই জানতে পারবেন।
এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নায়িকার বাইরে অন্য এক নিপুণের দেখা মিলল...
যখন অভিনয় করি তখন শুধু নায়িকা হয়েই সেটে থেকেছি। চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচনে যা দেখেছেন তা আগে করার প্রয়োজন পড়েনি। যখন বিজনেস করছি সেটা নিয়েই থাকছি। ব্যবসায়িক মহলে আমি কিন্তু বিখ্যাত। আমি সেলুন ইন্ডাস্ট্রিতে আছি, সেখানে অনেক পরিবর্তন করেছি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির রাজনীতিতে এসে যা করার দরকার সেটা করছি। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
আপনি সম্ভবত নায়িকা হিসেবে যতোটা আলোচনায় ছিলেন তারচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। এটা নিয়ে আপনার মতামত কী?
এটা আমি স্বীকার করছি যে, নায়িকা হিসেবে যতোটা না আলোচনায় ছিলাম শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এসে তারচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছি। দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। তারা ব্যক্তি নিপুণকে এই নির্বাচনে খুঁজে পেয়েছে।
চলচ্চিত্রের উন্নয়নে শিল্পী সমিতির পরিকল্পনা কী?
প্রথমেই বলি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এফডিসিতে পা রাখলেই এখানকার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তিনি এলেই আমাদের চলচ্চিত্র ঠিক হয়ে যাবে। আকাশছোঁয়া পরিকল্পনা আছে। এখন আদালতের বিষয়টা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। শিল্পী সমিতির কিছুই থেমে নেই। স্টাফদের বেতন, চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম, প্রতিদিন ইফতার, অসহায় শিল্পীদের সহায়তা সবকিছুই করছি। ১৭ মার্চে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি বিএফডিসিতে।
Comments