খালে সার কারখানার বর্জ্য, পানি খেয়ে ১৩ মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ

চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পান করে আরও ১৩টি মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে গবাদি পশুগুলো মারা গেছে।
মৃত মহিষের পাশে পশুটির মালিকের আহাজারি। ছবি: স্টার

চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পান করে আরও ১৩টি মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে গবাদি পশুগুলো মারা গেছে।

এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল আনোয়ারা এলাকার এই কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত খালের পানি পান করে ৪টি গরুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর একইভাবে মারা গিয়েছিল আরও ১২টি মহিষ।

বারশত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সিইউএফএল তাদের বিষাক্ত বর্জ্য গোবাদিয়া খালে ফেলে। খালের পানি পান করে মহিষগুলো মারা গেছে।

তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের জন্য মৃত মহিষগুলো নিয়ে আমরা কারখানার ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছি। মহিষের মালিকেরা বলেছেন, মারা যাওয়া পশুগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা।

মৃত দুইটি মহিষের মালিক মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, মহিষগুলো চারণভূমিতে থাকে। রোববার সকালে গিয়ে দেখি আমার দুটি মহিষ মরে পড়ে আছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিইউএফএল এর একটি বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি বর্জ্য শোধন না করে সরাসরি খালে ফেলে দেয়।

সিইউএফএলের মহাব্যবস্থাপক মইনুল হক বলেন, আমাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পশুর মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আমরা শিগগির ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব।

তিনি বলেন, আমাদের ইটিপি আছে। তবে ইটিপিতে কোনো লিকেজ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

The story of Gaza genocide survivor in Bangladesh

In this exclusive interview with The Daily Star, Kamel provides a painful firsthand account of 170 days of carnage.

1d ago