প্রকল্পের বেঁচে যাওয়া ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ফেরত দিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ১০ তলা ভবন। ছবি: সংগৃহীত

১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের বরাদ্দ দেওয়া অর্থ থেকে কাজ সম্পন্ন করে অবশিষ্ট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ। নবনির্মিত ভবনটি আগামী ১৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য জেলা শহরের বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা মাঠ সংলগ্ন গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন ১ দশমিক ২১ একর জমি বরাদ্দ পায়। ভবনটি নির্মাণে ১১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই। করোনা মহামারির কারণে নির্মাণকাজে দেরি হলেও এখন সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

ফোরকান আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সরকার ভবনটি নির্মাণের জন্য যে টাকা ররাদ্ধ দিয়েছিল সে টাকা থেকে ভবনের শতভাগ কাজ সম্পন্ন করার পর ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত থেকে গেছে। ওই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, কউক কক্সবাজার জেলার পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ৭০ দশমিক ০৬ একর জমি সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করে ওই জমি মহাপরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। বাঁকখালী নদীর চারপাশ রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে গড়ে তোলা হবে।

কক্সবাজারের নাগরিকদের সংগঠন 'আমরা কক্সবাজারবাসী'র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে সরকারের বরাদ্দ করা টাকার অবশিষ্ট অর্থ সরকারকে ফেরত দেওয়ার দৃষ্টান্ত আমাদের সমাজে খুবই কম। সে জায়গায় ফোরকান আহমদ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মইনুল হাসান চৌধূরী পলাশ বলেন,  কউক চেয়ারম্যান যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন তা অনুকরণীয়।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago