কোভ্যাক্সের আওতায় ১৯ কোটি ডোজ করোনা টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ: ইউনিসেফ

ছবি: ইউনিসেফের সৌজন্যে

কোভ্যাক্সের আওতায় গত ১ বছরে ইউনিসেফ বাংলাদেশে ১৯ কোটির বেশি ডোজ করোনা টিকা সরবরাহ করেছে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউনিসেফ জানায়, এখন পর্যন্ত কোভ্যাক্সের আওতায় সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যত টিকা পেয়েছে তার ৬২ শতাংশের বেশি পেয়েছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।

বিশ্বব্যাপী এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গাভি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশে টিকা পৌঁছে দেওয়ার ভূমিকা পালন কর ইউনিসেফ।

কোভ্যাক্সের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী সবাই যেন সমতার ভিত্তিতে করোনা টিকা পায় তা নিশ্চিত করা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে করোনা টিকাদান শুরু হয়। ইউনিসেফ বাংলাদেশে প্রথম কোভ্যাক্সের টিকা সরবরাহ করে ২০২১ সালের ১ জুন। সে সময় বাংলাদেশের মাত্র ৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী টিকা পেয়েছিল।

গত ১ বছরে সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য অংশীদারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ১১ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে ২ ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে। এই সংখ্যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৯ শতাংশ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, 'টিকার অবিচ্ছিন্ন প্রাপ্যতা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিশ্রমের কারণে আমরা টিকা নষ্ট না করেই সারাদেশের মানুষের কাছে তা পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।'

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং টিকার ন্যায়ভিত্তিক সরবরাহ বজায় থাকলে কী অর্জন করা যেতে পারে বাংলাদেশের করোনা টিকা গ্রহণ এবং টিকাদান অব্যাহত রাখার সক্ষমতাই তার প্রমাণ।'

বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারদান জং রানা বলেন, 'জনগোষ্ঠীর ৬৯ শতাংশকে ইতোমধ্যে ২ ডোজ টিকাদান সম্পন্ন করা বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের যে বৈশ্বিক টার্গেট তা অর্জনের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। কোভ্যাক্সের সহায়তা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হতো না।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago