বেগমগঞ্জে স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ১০নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শুভ সাহা (১৫) কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার দৌলতগঞ্জ গ্রামের মৃত দিলীপ সাহার ছেলে এবং কুমিল্লা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।'
নিহত স্কুলশিক্ষার্থীর মামা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, 'শুভ সাহার বাবা দীলিপ সাহা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। মা পরি সাহার সঙ্গে সে কুমিল্লায় থাকত। শুভ কুমিল্লা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। চাঁদপুর থেকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সে পরিবারের সভার সঙ্গে শুভ আমাদের বাড়িতে আসে।
তিনি অভিযোগ করেন, 'সে তার বড় বোনের সঙ্গে দেখা করতে স্থানীয় একটি মন্দিরে যায়। বোনের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়। শুভর হাতে একটি দামি মোবাইল ফোন ছিল। স্থানীয় কয়েকজন যুবক মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তাকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। মোবাইলের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।'
Comments