সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: রোগীতে পরিপূর্ণ চমেকের আইসিইউ ইউনিট

হাসপাতালে আহতের সংখ্যা আরও বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শতাধিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে অন্তত ১৯ জন চমেক হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

শনিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর আহত ও দগ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন।

চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেডসহ মোট আইসিইউ বেড ১৯টি। সবগুলো বেডেই অগ্নিকাণ্ডে আহতরা চিকিৎসাধীন আছেন।

সেখানে পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।

তার ব্যক্তিগত সহকারী শাহাদাত শাকিল গণমাধ্যমকে রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে জানান, চমেক হাসপাতালের সব আইসিইউ বেড অগ্নিকাণ্ডে আহত রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় আইসিইউ সংকট দেখা দিলে রোগীদের চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচে) আইসিইউতে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।

জেলা সিভিল সার্জন ইলিয়াস হোসেন জানান, শতাধিক দগ্ধ ও আহতদের হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। 

জরুরি বিভাগ, বার্ন ইউনিট, সার্জারি ইউনিটসহ অন্যান্য সব ইউনিটকে এখন অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে।

'হাসপাতালে ভিড় না করবেন না'

হাসপাতালে অযথা ভিড় না করতে স্থানীয় জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইউসুফ বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। এ কারণে আহতদের হাসপাতালে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। মহাসড়ক এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের টহল দল কাজ করছে, যেন আহতদের দ্রুত হাসপাতালে আনা যায়।

ফৌজদারহাট লিংক রোড বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন রাত পৌনে ৩টার দিকে সীতাকুণ্ড থেকে একসঙ্গে অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স শহরের দিকে প্রবেশ করেছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো যাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ আশেকুর রহমান বলেন, আরও রোগী হাসপাতালে আসছেন। তাদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং সাধারণ মানুষও আছেন। আহতের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

6h ago