খোয়াই নদীর পানি একরাতে বেড়েছে ১৩৮ সেন্টিমিটার

sylhet-flood-2_ds.jpg
সিলেট বিভাগে বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ছবিটি গতকাল সিলেট থেকে তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী নাসির শেখ।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবকটি প্রধান নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, গতকাল থেকে নদীর পানির উচ্চতা হবিগঞ্জে বাড়লেও সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই ৪ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, পুরাতন সুরমা ও সোমেশ্বরী নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সারিগোয়াইন, মনু, যাদুকাটা, কংস নদী বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কেন্দ্রের তথ্যমতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় সিলেটে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে গতকাল থেকে ২৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সিলেট নগর পয়েন্টে গতকালের চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হবিগঞ্জে বন্যার পানি বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

তবে সিলেটের জকিগঞ্জের অমলশীদে কুশিয়ারা নদীর পানি গতকালের চেয়ে ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বিয়ানীবাজারের শেওলায় গতকালের চেয়ে অপরিবর্তিত অবস্থায় বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি গতকালের চেয়ে ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার দিরাইয়ে পুরাতন সুরমা নদীর পানি গতকালের চেয়ে ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে, হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। জেলার বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি গতকালের চেয়ে ১৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় সোমেশ্বরী নদীর পানি গতকালের চেয়ে ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Child rape cases in Bangladesh have surged by nearly 75 percent in the first seven months of 2025 compared to the same period last year, according to data from Ain o Salish Kendra (ASK).

2h ago