তিস্তায় পানি বাড়ছে, বন্যার শঙ্কায় স্থানীয়রা

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুরে তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ বন্যা নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ১৫ মিটার, যা বিপদসীমার মাত্র এক মিটার নিচে।

অন্যদিকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে রেকর্ড হয়েছে ২৮ দশমিক ১১ মিটার, যেখানে বিপদসীমা ২৯ দশমিক ৩০ মিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আপাতত সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যেতে পারে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনী কুমার বলেন, 'উজানে ভারতের সিকিম ও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তিস্তার পানি হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। পানি এখনো বিপদসীমার নিচে আছে, তবুও আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমরা প্রতি ঘণ্টায় পানির গতি-প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছি।'

পানি উন্নয়ন বোর্ড সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই বললেও স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আদিতমারী উপজেলার চর গোবর্ধান এলাকার ফজলার রহমান বলেন, 'বন্যা এলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল, গরু-ছাগল, বাড়ির জিনিস—সব ভেসে যায়। এবারও ভয়ে আছি, অনেকেই উঠোনে ত্রিপল টানিয়ে মালপত্র রাখছে।'

রংপুরর গঙ্গাচওড়া উপজেলার চরমহিপুর এলাকার তসলিমা বেগম বলেন, 'গতবার হঠাৎ করে উঠানে পানি উঠে যায়। সেদিন রাতে সন্তানদের কোলে নিয়ে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তবে এবার আগেভাগেই কাপড়-চোপড়, চাল-ডাল বস্তায় ভরে উঁচুতে তুলে রেখেছি।'

তিস্তার পানি বাড়লে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলগুলো। তিস্তাপাড়ে চর রয়েছে ৯৫টি। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষ বাস করেন নদীর চরজমিতে, যেখানকার ঘরবাড়ি তুলনামূলক নিচু। ফলে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় প্লাবনের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

Comments

The Daily Star  | English
Tarique Rahman warns against return of fascist forces

Tarique Rahman urges first-time voters to back BNP

'Let the first vote of the youth be for the sheaf of paddy,' he says

8m ago