আশুলিয়া ও নড়াইলের ঘটনায় ১৭ নাগরিকের উদ্বেগ

শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (বামে) ও নড়াইলের অধ্যক্ষ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা এবং নড়াইলে আরেক শিক্ষককে অসম্মানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১৭ নাগরিক। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনা কঠোরভাবে দমন করার আহ্বান জানান তারা।

এতে বলা হয়, ঢাকার আশুলিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় উৎপল কুমার নামে একজন শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করে এক বখাটে তরুণ। গণমাধ্যম সূত্রে আমরা আরও জানতে পেরেছি যে, গত ১৮ জুন সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ তুলে আবারও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে নড়াইলে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কলেজ অধ্যক্ষের গলায় পরানো জুতার মালা না খুলে পুলিশ কোন আইন বা বিধিতে থানায় নিয়ে যায় তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। স্মরণকালে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর মতো ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ কোন স্তরে নেমে গেছে তা ভেবে আমরা আতঙ্কিত।

গতকাল ঢাকার আশুলিয়ায় জনৈক ছাত্রের প্রহারে শিক্ষক উৎপল কুমারের মৃত্যুর ঘটনা যে প্রশ্নের সামনে আমাদের দাঁড় করায় তা হলো—আর কী থাকলো আমাদের?

আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কঠোরভাবে দমন করুন। মুক্তিযুদ্ধের ৪ মূলনীতির আলোকে শিক্ষা, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।

আর বিলম্ব নয়, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পথ হারাবার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

বিবৃতিতে সই করেছেন হাসান ইমাম, অনুপম সেন, সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোওয়ার আলী, ফেরদৌসী মজুমদার, আবেদ খান, আবদুস সেলিম, লায়লা হাসান, মফিদুল হক, শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসির মামুন, হারুণ হাবীব, শফি আহমেদ, শিমূল ইউসুফ, সারা যাকের ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago