পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সোমবার আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবাজি’র অভিযোগে অটোরিকশা চালকদের মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে 'চাঁদাবাজি'র অভিযোগে অটোরিকশা চালকদের মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের ঘটনায় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলার বাদী মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'গত সোমবার মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা করা করা হয়েছে।'

আসামিরা হলেন-রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সিনিয়র নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আমিরুল ইসলাম, নান্নু, মিন্টু, কামরুল, মিঠুন, আলম ও হাফিজুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কয়েকজন অটোরিকশা, ভ্যান চালক শ্রমিক নেতা ও গ্যারেজ মালিকদের উস্কানিতে গত ২৭ জুন আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে।

এ সময় আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে, অভিযুক্তরা পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে ইট-পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে।

এতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত আশুলিয়া থানা পুলিশের এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ মারাত্মকভাবে আহত হন এবং রেকার ভাঙচুর করা হয়। ইট-পাটকেলের আঘাতে রেকারের দুই কর্মী আহত হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।

মামলা প্রসঙ্গে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না ঘটনাস্থলে। অন্যান্য যাদের আসামি করা হয়েছে, তারাও কেউ উপস্থিত ছিলেন না।'

'উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের হয়রানি করতে এই মামলা করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা গত ২৫ জুন রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিকদের ৫ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের দাবিগুলো ছিল- ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ, রিক্সা ও ভ্যান চলাচলের জন্য আলাদা লেন ও স্ট্যান্ড নির্মাণ করা, রিক্সা ও ভ্যান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া ইত্যাদি।'

'কিন্তু ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য আমরা মানববন্ধন আয়োজনের তারিখ পরিবর্তন করি। পরে শ্রমিকরা ২৭ তারিখে দাবি আদায়ে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। আমরা সংগঠনের কেউ সেখানে ছিলাম না। শ্রমিকরা ন্যায্য দাবি আদায়ে সড়কে নেমেছিল,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'সে সময় পুলিশ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে এবং এতে অন্তত ১০ জন অটোরিকশা চালক আহত হয়েছে বলে জেনেছি।'

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এতে আমাদের পুলিশ সদস্য আহত হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago