ফারাজের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা
হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেনের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে 'মানবতার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা' কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
ফারাজ দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লতিফুর রহমান ও শাহনাজ রহমানের নাতি এবং ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমানের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শহরের চরকমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'নৈতিকতায় শক্তি, সাহসিকতায় জয়'-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ট্রান্সকম গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান এসকে-এফ ও ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এসকে-এফের সেলস ম্যানেজার মো. আব্দুল কাদির।
এতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে অংশ নেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাসরিন আক্তার ও আঁখি আক্তার, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নাজমুল হুদা, শিশু বিশেষজ্ঞ ইসমত জাহান। এছাড়া পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট চিকিৎসক দলের অপর সদস্য ছিলেন মেডিকেল অফিসার মো. এমরান হোসাইন।
বেলা ১১টার দিকে চরকমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রোগী দেখার পর রোগের ধরন অনুযায়ী লিখে দেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থাপত্র। পরে বিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ব্যবস্থাপত্র মিলিয়ে রোগীদের বিনামূলে ওষুধ বুঝিয়ে দিচ্ছেন এসকে-এফের প্রতিনিধিরা।
চর কমলাপুর মহল্লার শিল্পী বেগম (৩৮) বিনামূলে চিকিৎসা সেবা নিতে মেয়ে মেঘলাকে নিয়ে এসেছেন চরকমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিল্পী বেগম জানান, মেঘলা বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। অনেক ওষুধ খাচ্ছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এখানে চিকিৎসক অনেক সময় ধরে তার মেয়েকে দেখেছেন, শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। তাদের কথা শুনেছেন। তিনি চিকিৎসকদের ব্যবহারে এবং বাড়ির কাছে এরকম একটি মেডিকেল ক্যাম্প পেয়ে খুশি।
চরকমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাবিল এসেছে তার নানী জাহানারা বেগমকে নিয়ে। তিনি বলেন, সাবিল অনেক দিন ধরে বুকে ব্যথার কথা বলছে। চিকিৎক দেখিয়েছি কোনো ফল হয়নি। শুনলাম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারারা এলাকায় চিকিৎসা দিতে আসবে তাই ওকে নিয়ে এসেছি।
চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, এসকে-এফের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার সেলিম মিয়াজী, সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার খান মো. বাকির হোসেন ও মাহাবুব খান প্রমুখ। অন্যদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের (২১ নম্বর) কাউন্সিলর মোবাররক খলিফা উপস্থিত ছিলেন।
খান মো. বাকির হোসেন বলেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মোট ৪৩২ জনকে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।
Comments