ট্রেনের টিকিট পেতে ভোগান্তি, মন্ত্রী বললেন ‘পরিস্থিতি মানতে হবে’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। ছবি: স্টার

ঈদুল আজহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট পেতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা লাইনে থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার নিজের সিরিয়াল দখলে রেখে সেরে নিচ্ছেন গোসল। অনেকেই আবার টিকেট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

আজ ভোরে ৬টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে অগ্রিম টিকিটির জন্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মচারী আব্দুস সবুর সরকার। টিকিট দেওয়া শুরু হয় সাধারণত সকাল ৮টায়। তিনি ২ ঘণ্টা আগে এসেছেন।

তিনি ২ ঘণ্টা আগে এসে ঈদের অগ্রিম টিকিট পাবেন এতে অনেকেই তাকে বোকা ভাবতে পারেন। না, তিনি আসলে বোকা নন। ঈদের টিকিট পেতে কী ধরনের ভোগান্তি হয় সে সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি মূলত আগামীকাল সকাল ৮টায় টিকিট কাটবেন।

পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকেই ২৬ ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসেছেন। গোসল করার জন্য একটি লুঙ্গিও সঙ্গে এনেছেন।

আব্দুস সবুর সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার সিরিয়াল ২২। গত ঈদে মাত্র প্রথম ২০ জন টিকিট পেয়েছিল। জানি না প্রথম দিন টিকিট পাব কি না।'

আব্দুস সবুরের মতো অনেকেই ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসে লাইন ধরে থাকছেন। 

তবে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এসব স্বাভাবিক বিষয়। পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। আজ এক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর স্টেশন পরিদর্শন করে তিনি এই কথা বলেন।

নুরুল ইসলাম সুজন জানান, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৭টি জায়গা থেকে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে যে মাত্র ৬ হাজার টিকিটের জন্য প্রায় ২ লাখ লোক স্টেশনে এসেছে।'

তিনি বলেন, 'টিকিটের যে চাহিদা তা পূরণে আমাদের সক্ষমতা নেই। এই পরিস্থিতি আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আমরা চেষ্টা করছি।'

বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনের প্রায় ২৭ থেকে ২৮ হাজার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কাউন্টার থেকে এবং বাকী ৫০ শতাংশ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে বিক্রি করা হয়।

বাংলাদেশে রেলওয়ের পক্ষ থেকে টিকিট বিক্রির সঙ্গে জড়িত সহজের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ শনিবার সকাল ৮ টা থেকে ১১টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে ১২ হাজার ৫৬৬টি এবং কাউন্টার থেকে ১০ হাজার ২৭১ টি টিকিট বিক্রি হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Childhood buried in trash

For the past decade, 18-year-old Raza has been wading through garbage to help his family survive.

13h ago