চাকরির নামে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ ভাই

ময়মনসিংহে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৪ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ময়মনসিংহে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৪ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারক চক্রটি আকর্ষণীয় বেতনের কথা বলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করত।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহজাহান মিয়া (৩৫), সাবিকুর রহমান (৩৪), শামীম হাসান (২৬) ও সাইদুল ইসলাম (২৪)।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কাউছার হামিদ ওই ৪ ভাইকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে শনিবার ভোরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো শাহ কামাল আকন্দ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'আজ দুপুরে গ্রেপ্তার ৪ জনকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত পরবর্তীতে রিমান্ড শুনানির আদেশ দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।'

ওসি বলেন, 'চক্রটি কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি পত্রিকায় আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দেন। ওই বিজ্ঞাপন দেখে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার আবুল কাশেমের ছেলে মো. কাউছার হামিদ যোগাযোগ করেন। তাদের কথা মতো গত ৪ মে নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত পাঠান। পরে গত ২৮ জুন কাউছার হামিদের নম্বরে ফোন করে পরদিন ময়মনসিংহে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকেন।

'২৯ জুন বিকেলে কাউছার হামিদ ময়মনসিংহ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গৌরীপুরের ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামের একটি ঘরে আটকে রাখেন। এরপর চক্রটি কাউছার হামিদের কিডনি নিয়ে বিক্রি করার হুমকি, মারধর ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কাউছার হামিদ তাদের বুঝিয়ে তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। পরদিন ৩০ জুন সন্ধ্যার পর কাউছার তার পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকা এনে প্রতারক চক্রের কাছে দেন। পরে রাত ১১টার দিকে কাউছারকে ছেড়ে দেয় প্রতারক চক্র,' বলেন তিনি।

ওসি আরও বলেন, 'ছাড়া পেয়ে কাউছার হামিদ শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ৪ ভাইকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় প্রতারণার মামলা করেন। মামলার পর আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।'

গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।'

  

Comments