মমতার বাড়িতে ‘আগন্তুক’, লুকিয়ে ছিলেন সারারাত

কলকাতার কালীঘাটে অবস্থিত মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বাসস্থান।
কলকাতার কালীঘাটে অবস্থিত মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসস্থান। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে রাত গভীরে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েন এক 'আগন্তুক'। বাসার এক কোণায় নির্বিঘ্নে রাত কাটানোর পর সকালে তাকে 'আবিষ্কার' করা হয়।

গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সেই অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে পাওয়ার পর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা শশব্যস্ত হয়ে পড়েন।

স্বভাবতই প্রশ্ন জেগেছে, কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের জি-প্লাস নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সবার নজর এড়িয়ে তার বাড়িতে রাত কাটালেন।

পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারী ভোররাত ১টার দিকে ৩৪ বি হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসার দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢোকেন।

পুলিশের ভাষ্য, 'মুখ্যমন্ত্রীর বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘনের ঘটনার কথা আমাদের জানানো হয়েছে। অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে সেই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় অনুপ্রবেশ করে।'

এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অনুপ্রবেশকারী বাসার ভেতরে এক কোণায় বসে রাত কাটান। সকালে তাকে নিরাপত্তা কর্মীরা চিহ্নিত করেন।

'কালীঘাট থানায় খবর দেওয়ার পর সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়,' যোগ করেন তিনি।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, লোকটাকে দেখে মনে হয়েছে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।

পুলিশের সেই কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা তার সঙ্গে কথা বলে তথ্য জানার চেষ্টা করছি। আমরা একইসঙ্গে জানতে চাচ্ছি, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ঢোকার জন্য তাকে কেউ নির্দেশ দিয়েছে কী না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।'

পুলিশের মতে, তাৎক্ষণিকভাবে মমতার বাসার ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মমতার বাড়ির কাছে কালীঘাট সেতুর চারপাশে লম্বা লোহার ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষের চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত বাড়িতেই থাকেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago