‘একসঙ্গে ৫২ বছর কাটিয়ে দিলাম’

আবুল হায়াত ও তার স্ত্রী শিরিন। ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদক প্রাপ্ত অভিনেতা আবুল হায়াত ৫ দশকরেও বেশি সময় অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। নাট্যকার ও পরিচালক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।

আজ এই অভিনেতার ৫২তম বিবাহবার্ষিকী। যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ, অভিনয়, ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি, বিবাহবার্ষিকীসহ নানা বিষয়ে আবুল হায়াত কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

আবুল হায়াত ও শিরিনের বিয়ের ছবি। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ দিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটালেন। কেমন ছিল দিনগুলো?

অসাধারণ সময় কাটিয়ে এলাম। নিউইয়র্কে তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত সন্তানদের নিয়ে থাকে। ওদের ওখানেই গিয়েছিলাম। অনেক ঘুরাঘুরি করেছি।

জীবনের এই সময়ে এসে স্ত্রীকে নিয়ে দারুণ সময় কাটালাম। খুব আনন্দ করেছি। যেখানেই গিয়েছি বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের দেখা পেয়েছি। অন্যরকম আবেগ কাজ করেছে।

আমার এক ছোট ভাই প্রকৌশলী মুখলেস ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা হলো ১৭ বছর পর। এতগুলো বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে একজন কাছের মানুষের দেখা পাওয়াটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিদেশের মাটিতে অনেক আনন্দ হলেও দেশকে প্রতিনিয়ত মিস করেছি।

এবারের ঈদে কতোগুলো নাটকে দেখা যাবে আপনাকে?

খুব বেশি নাটকে দেখা যাবে না। দেশে ছিলাম না। একটি মাত্র নাটকে অভিনয় করেছি হানিফ সংকেতের পরিচালনায়। ঈদে তো নাটক পরিচালনাও করি। কিন্তু এবার সম্ভব হয়নি। দেশে থাকলে হয়তো আরও কিছু নাটক করা হতো। এবার অন্যদের নাটক দেখার ইচ্ছে আছে ঈদের ছুটিতে।

ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি মনে পড়ে?

ছোটবেলার ঈদের কথা কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব না। আমার মনে হয়, সবারই স্মৃতিতেই ছোটবেলার ঈদ গেঁথে আছে।

আমরা তখন চট্টগ্রামে থাকতাম। আব্বা ঈদুল আযহার কয়েকদিন আগে কুরবানি দেওয়ার জন্য খাসি কিনে আনতেন। আমরা ছোটরা কাঁঠাল পাতা খাওয়াতাম। খাসিকে খাওয়ানো, আদর করা, মাঠে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো—এগুলো ছিল ভীষণ আনন্দের।

ঈদের নামাজ পড়ে ফিরে কুরবানি দেওয়ার সময় খাসিটার জন্য খারাপ লাগতো।

ছোট বয়সের ঈদ আর বড় বয়সের ঈদের আমেজ ভিন্ন রকম। এখন নাতি-নাতনিদের নিয়ে দারুণভাবে কাটে ঈদের সময়টা।

বিবাহিত জীবনের ৫২ বছরে পা রাখলেন। দীর্ঘ জীবন একসঙ্গে কাটানোর মূলমন্ত্র কী?

মূলমন্ত্র হচ্ছে বিশ্বাস, পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা ও সততা। ৫২ বছর আগে সংসার শুরু করেছিলাম। দুজনে একসঙ্গে ৫২ বছর কাটিয়ে দিলাম, খুব সুন্দর ভাবেই কাটিয়ে দিলাম। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

আমাদের সংসারটাকে সুন্দরভাবে ধরে রেখেছেন আমার স্ত্রী শিরিন। তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago