বছরে ২ লাখ শ্রমিক নেবে অস্ট্রেলিয়া

ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

'অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি' (এসিসিআই) মহামারি পরবর্তী অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক পথকে সুরক্ষিত করতে দক্ষ অভিবাসন কর্মসূচি প্রায় দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

তারা ফেডারেল সরকারের কাছে প্রতি বছর ২ লাখ দক্ষ অভিবাসীকে ভিসা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষ অভিবাসনের ঘাটতি কাটানোর আহ্বানকে সমর্থন করেছে। বার্ষিক কর্মসূচিটি ২ লাখে সম্প্রসারিত করার জন্য তারাও জোর দিয়েছে।

গত বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ করার পর থেকে ব্যবসা ও শিল্প শ্রমিকের দীর্ঘস্থায়ী অভাবের মুখোমুখি হয়। ২০২০-২১ সালে করোনার কারণে প্রায় ৭৭ হাজার দক্ষ শ্রমিক অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। ফলে দেশটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি তাদের 'বেটার অস্ট্রেলিয়া' প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে ১০টি সুপারিশ রয়েছে। প্রথমটিই হচ্ছে বিদেশের দক্ষ শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে ভিসা প্রদান।

এসিসিআই বলেছে, অভিবাসনের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই নির্ধারণ করা উচিত। যেগুলো গুরুতর শ্রম দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলা করতে পারবে এবং এই সংস্কারের অংশ হিসেবে অর্থনৈতিক ফলাফল সর্বাধিক করতে পারবে।

এসিসিআই'র প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু ম্যাককেলার এসবিএস নিউজকে বলেছেন, প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ দক্ষ অভিবাসীর সংখ্যাটি এখন অপরিহার্য।

'এটি এমন কিছু যা আসলে একটি শক্তিশালী অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়তা করবে,' তিনি যোগ করেন।

সরকারের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার দেশের অভিবাসন কর্মসূচির আকার ও মিশ্রণের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করছে।

তিনি বলেছেন, 'এটি আমাদের জনসংখ্যা ও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। কারণ, আমরা জানি যে অভিবাসীরা বৃহত্তর জনসংখ্যার তুলনায় কম বয়সী হয়।'

এসিসিআই'র সুপারিশে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়াজুড়ে সরকারগুলোকে অস্থায়ী ও স্থায়ী অভিবাসনের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধাগুলোকে স্বীকৃতি দিতে হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভিবাসীদের দক্ষতা, ক্ষমতা ও ধারণা আমাদের মানবিক ও প্রাকৃতিক পুঁজিকে গড়ে তোলার পাশাপাশি আরও উন্নত করবে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটেট গত সপ্তাহে বলেছেন যে তিনি একটি 'বৃহত্তর নিউ সাউথ ওয়েলস'র পক্ষে এবং দক্ষ অভিবাসন বাড়ানোর জন্য ফেডারেল সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চান।

ফেডারেল সরকারের অবকাঠামো সম্পর্কিত উপদেষ্টা সংস্থাটিও নির্দেশ করেছে যে দক্ষ শ্রমের ঘাটতি মেটাতে অভিবাসন বাড়ানো প্রয়োজন।

সরকারের অভিবাসনবিষয়ক প্রতিবেদনে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছর ২ লাখ ৩৫ হাজার বিদেশি অভিবাসনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

5h ago