দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড

বেঁচে যাওয়াটা অবিশ্বাস্য

৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য গ্রাম থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকায় গিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।
ছবি: সংগৃহীত

৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য গ্রাম থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকায় গিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।

কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাদের। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকচাপায় তিনি, তার স্ত্রী রত্না বেগম (২৬) ও মেয়ে সানজিদা (৩)— ৩ জনই নিহত হন।

একই সময় দুর্ঘটনাস্থলেই জন্ম নেয় রত্না বেগমের পেটে থাকা শিশুটি।

আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন।

ওসি জানান, দুপুরে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর আলম তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ত্রিশাল পৌর এলাকায় যান। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা ৩ জন মারা যান। এ সময় চাপ খেয়ে রত্না বেগমের পেটে থাকা বাচ্চা রাস্তাতেই জন্ম নেয়।

আহত নবজাতক কন্যা শিশুটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

বর্তমানে শিশুটি কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে নবজাতকের চাচা শরিফ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক্স রেতে নবজাতকের ডান কাঁধের ফ্র্যাকচার পাওয়া গেছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়, সে ভালো আছে। '

তিনি আরও জানান, পুলিশ ট্রাকটিকে জব্দ করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। ৩ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments