নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিককে কুপিয়ে আহত, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বন্দর উপজেলা প্রতিনিধি ও বন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. নুরুজ্জামান মোল্লাকে (৪৫) কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার বাসিন্দা রাজীব ও শান্ত। গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার দুপুরে উপজেলার বন্দর-মদনপুর সড়কের হালুয়াপাড়া ব্রিজের সামনে সাংবাদিক নুরুজ্জামান মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি উপজেলার মদনপুরে আর কে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হামলার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা রুমা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, রোববার দুপুরে এক স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে নিজের মোটরসাইকেলে বাসায় আসছিলেন নুরুজ্জামান। হালুয়াপাড়া ব্রিজের সামনে এলে আসামিরা তার পথরোধ করে। এ সময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা, ইট, হাতুড়ি ও কাঠের চেলি দিয়ে নুরুজ্জামানকে আঘাত করে। এতে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়।

আইরিন সুলতানা রুমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলছাত্রীকে অপহরণকারীরা আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায়। তখন পুলিশ চলে আসায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।'

'এর আগে বিভিন্ন সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ নিয়ে হামলাকারী কয়েকজনের সঙ্গে নুরুজ্জামানের বিরোধ ছিল। এর আগেও তারা হামলার চেষ্টা করেছে,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে ওসি দীপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রী অপহরণের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার ক্ষোভে সাংবাদিকের ওপর হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় সাংবাদিকের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

37m ago