‘অভিনয় আমার পেশা ও নেশা’

টেলিভিশন নাটকে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেতা সাজু খাদেম। উপস্থাপনায়ও সরব সাজু অভিনীত ৩টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
সাজু খাদেম। ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশন নাটকে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেতা সাজু খাদেম। উপস্থাপনায়ও সরব সাজু অভিনীত ৩টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন সাজু খাদেম।

সাজু খাদেম। ছবি: সংগৃহীত

নাটকের জন্য বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।

অভিনয় আমার পেশা ও নেশা, অভিনয় আমার ভালোবাসা। একজন চাকরিজীবী যেমন মাসের পর মাস চাকরি করেন, ব্যস্ত থাকেন; আমিও অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এ কারণেই শত ব্যস্ততায় একঘেয়ে অনুভব হয় না। ভীষণ আনন্দ নিয়ে অভিনয় করি। ভালোবাসা না থাকলে হয়তো সেটা সম্ভব হতো না।

অভিনয়ে আপনার আইডল কে?

আইডল অনেকেই। তবে, হুমায়ূন ফরীদিকে অন্যতম আইডল মনে করি। তার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল। তার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সব সময় থাকবে।

আইডল আর কারো কথা বলতে চান?

ড. ইনামুল হক আমার জীবনের বড় শিক্ষক। স্যারকে মিস করি প্রতিনিয়ত। তার কাছে অনেক শিখেছি। তিনি নেই এখনো বিশ্বাস হয় না। মাঝে মাঝে ভাবি তিনি আছেন। তার লেখালেখির ঘরে বসে লিখছেন, বই পড়ছেন।

তিনি যেখানেই থাকুন, ছায়া হয়ে আমাদের পাশে আছেন। তার জন্য শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রার্থনা।

নাটককে কীভাবে দেখেন?

প্রথমত বিনোদন। তারপর অনেক কিছু। এটা অবশ্যই শিল্প। শিল্প দিয়ে সমাজের জন্য অনেক অবদান রাখা সম্ভব। সমাজে বিনোদনের পাশাপাশি একটি নাটক অনেক পজিটিভ ভূমিকা রাখে। নাটকের মধ্যে দিয়ে নানা সময়ে বার্তাও দেওয়া হয়। একজন পরিপূর্ণ ভালো মানুষ যখন অভিনয় শিল্পকে সুন্দরভাবে দেখবেন, তখন দৃষ্টিভঙ্গিটাও বদলে যাবে এবং সমাজের উপকার হবে।

টিভি নাটক, ওয়েব ফিল্ম ও সিনেমায় অভিনয় করছেন? সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনা কী?

আমার অভিনীত ৩টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে অরণ্য আনোয়ারের 'মা', মানিক মানবিকের 'আজব ছেলেটা' এবং হৃদি হকের '১৯৭১- সেইসব দিন'।

অভিনয়ই আমার কাছে সব। সব মাধ্যমেই অভিনয় করতে চাই। হোক নাটক, হোক ওয়েব ফিল্ম, হোক সিনেমা। আলাদা কোনো পরিকল্পনা নয়, অভিনয়ই হোক আমার জীবনের সবকিছু।

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

11h ago