এফডিসিতে আলম খান-শর্মিলী আহমেদের স্মরণসভা আজ

বিএফডিসিতে দুই কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলম খান ও অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদকে নিয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলম খান ও শর্মিলী আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিএফডিসিতে দুই কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলম খান ও অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদকে নিয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আয়োজনে বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব অডিটোরিয়ামে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলম খান ও অভিনয়শিল্পী শর্মিলী আহমেদ গত ৮ জুলাই মারা গিয়েছেন। 

বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আলম খান ছিলেন সুরের জাদুকর। তার সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী। ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাথি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

আলম খানের সুর ও সংগীতে শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্য রয়েছে -  'জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প', 'আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো', 'ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে', 'কি জাদু করিলা', 'ওরে নীল দরিয়া', 'তুমি যেখানে আমি সেখানে', 'সবাই তো ভালোবাসা চায়', 'ভালোবেসে গেলাম শুধু', 'চাঁদের সাথে আমি দেবো না', 'আমি একদিন তোমায় না দেখিলে', 'সাথীরে যেও না কখনো দূরে', 'কাল তো ছিলাম ভালো', 'চুমকি চলেছে একা পথে' এবং 'তেল গেলে ফুরাইয়া' ইত্যাদি।

আলম খানের ২ ছেলে আরমান খান ও আদনান খান। তারা দুজনেই সংগীত পরিচালক। একমাত্র মেয়ে আনিকা খান।

আলম খান শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে ১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত 'বড় ভালো লোক ছিল' সিনেমার মাধ্যমে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

এরপর তিনি 'তিন কন্যা' (১৯৮৫), 'সারেন্ডার' (১৯৮৭), 'দিনকাল' (১৯৯২), 'বাঘের থাবা' (১৯৯৯) এবং 'এবাদত' (২০০৯) ছবিগুলোতে একই পুরস্কারে ভূষিত হন।

এ ছাড়াও, শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে 'কি জাদু করিলা' ছবির জন্য ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

অন্যদিকে শর্মিলী আহমেদ মঞ্চ, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী। মাত্র মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেন। এই অভিনেত্রীর প্রকৃত নাম মাজেদা মল্লিক। ১৯৪৭ সালের ৮ মে তার জন্ম। রাজশাহী বেতারের শিল্পী ছিলেন তিনি। শর্মিলী আহমদের তনিমা নামের এক মেয়ে আছেন। তার ছোট বোন অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি।

৬০ দশকে সিনেমায় নাম লেখান শর্মিলী। সুভাষ দত্ত পরিচালিত 'আলিঙ্গন', 'আয়না ও অবশিষ্ট' এবং 'আবির্ভাব' চলচ্চিত্র দিয়ে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। শর্মিলী আহমেদের স্বামী রকিবউদ্দিন আহমেদও ছিলেন পরিচালক। তার নির্মিত 'পলাতক' ছবিতে অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ।

স্বাধীনতার পর 'রূপালী সৈকতে', 'আগুন', 'দহন'-এর মতো জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে ছিল তার সরব উপস্থিতি। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ নাটক ও ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

অভিনয়জীবনে মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারের শুরুতে শর্মিলী আহমেদ ছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পরবর্তীকালে টেলিভিশন নাটকে মা, দাদির চরিত্রে অভিনয় কর নিজের শক্ত অবস্থান করেছিলেন।

Comments