বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, চাচা কারাগারে

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চাচাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে অভিযুক্ত বাবা পলাতক।  
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চাচাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে অভিযুক্ত বাবা পলাতক।  

গতকাল সন্ধ্যায় ওই মেয়ের মা বাদী হয়ে চাটখিল থানায় তার স্বামী মোস্তফা কামাল লিটন ও তার ছোট ভাই দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। লিটন ও দিদারুল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। 

পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি দিদারুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করলে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি গত ৮ জুলাই রাতের। সেদিন রাত ১২টার দিকে নিজের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে যৌন নিপীড়ন করেন অভিযুক্ত বাবা মোস্তফা কামাল লিটন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মা বিষয়টি লিটনের ছোট ভাই দিদারুলকে জানালে তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাপ সৃষ্টি করেন।

মামলার বাদী মা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বামীকে অনৈতিক কাজে বাঁধা দেওয়ায় ও তার ছোট ভাইকে ঘটনা জানানোয় সে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে আমাকে ও মেয়েকে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। দীর্ঘদিন ধরে সে কোনো কাজ এবং আমাদের ভরণপোষণ করে না। জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি। ঘটনার পরপরই স্বামী পালিয়ে গেছে।'

এ বিষয়ে চাটখিল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ন কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ও চাচাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার দ্বিতীয় আসামি দিদারুল আলমকে যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। আজ সকালে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments