ট্রাস্ট ফিলিং স্টেশনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ট্রাস্ট ফিলিং স্টেশন
ট্রাস্ট ফিলিং স্টেশন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ট্রাস্ট ফিলিং স্টেশনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সরকারি তেল বিপণন কোম্পানি পদ্মা।

গতকাল মঙ্গলবার পেট্রল পাম্পটিতে মোটরসাইকেলে ৪০০ টাকার বেশি ও গাড়িতে ৩ হাজার টাকার বেশি তেল না দেওয়ার একটি নোটিশ টাঙানো হয়। এর জের ধরে পদ্মা অয়েল কোম্পানি তাদের কারণ দর্শাতে বলেছে। পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সালেহ ইকবাল দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাস্টকে দ্রুত এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লিয়াজোঁ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, দেশে জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই। পেট্রল পাম্পগুলোকে তেল কম দেওয়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, যেসব পেট্রল পাম্প এ ধরনের ঘোষণা দিচ্ছে, তারা নিজ দায়িত্বে দিচ্ছে। বিপিসি বা বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বি এম আজাদ আরও বলেন, 'সরকারের একটি নির্দেশনা আছে যে জ্বালানি তেলের আমদানি ৩০ শতাংশ কমানো যায় কি না, সেটা দেখতে। আমদানি কীভাবে কমানো হবে, সেটার প্রক্রিয়া এখনো ঠিক হয়নি। যদি চাহিদা না কমানো যায়, আমাদের তো তেল আমদানি করতেই হবে। কিন্তু বিতরণ কমানোর কোনো নির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।'

পেট্রল পাম্পগুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখার পরিকল্পনার বিষয়টিও চূড়ান্ত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটিও সুপারিশ করা হয়েছে, তবে এতে আদৌ জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমবে কি না, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, 'আজকে থেকে যদি আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে যে পরিমাণ ডিজেলের মজুদ আছে, তাতে সারা দেশের ৩২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। একইসঙ্গে বর্তমানে পেট্রলের মজুদ ১৫ দিনের, অকটেনের ৯ দিনের, ফার্নেস অয়েল ৩২ দিনের, জেট ফুয়েল ৪৪ দিনের মজুত আছে।'

তিনি বলেন, 'এর মানে এই না যে, বিপিসি আমদানি কাল থেকে বন্ধ করে দেবে। আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ একটি চক্রাকার প্রক্রিয়া। আজকে যে অকটেনের মজুদ ৯ দিনের, এক-দুই দিনের মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেনবাহী একটি জাহাজ আসবে যার পরে মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ দিনের। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।'

'পেট্রলের শতভাগ দেশেই উৎপাদন হয়। এর সঙ্গে মজুদের কোনো সম্পর্ক নেই', বলেন তিনি।

বর্তমান মজুদকে একদমই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, 'কোনো পেট্রল পাম্পকে তেল কম বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যারা নিজ উদ্যোগে এমন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

'আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনা তৈরি করা আছে। এই সাইকেলে কোনো সমস্যা নেই', যোগ করেন তিনি।

এ বি এম আজাদ আরও বলেন, 'দেশে বর্তমানে ডিজেল ৪ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন, অকটেন ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন, পেট্রল ২১ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল ৬২ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন এবং ফার্নেস অয়েল ৮৫ হাজার ৪১ মেট্রিক টন মজুদ আছে।'

সারাদেশে প্রতিদিন ১৩-১৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেলের চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

1h ago