পরাণ থেকে হাওয়া’য় রাজ

শরীফুল রাজ
শরীফুল রাজ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের নতুন আলোচিত নায়ক শরিফুল রাজ। অভিনয় গুণে অল্প সময়েই দর্শকদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। ঈদে মুক্তি পাওয়া 'পরাণ' সিনেমায় নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। তার কথাই এখন দর্শকরা বেশি আলোচনা করছেন।

এদিকে আগামীকাল শুক্রবার দেশের ২৪ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে রাজ অভিনীত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমা 'হাওয়া'। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

এই দুই সিনেমায় অভিনয়, প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে শরীফুল রাজ কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

'পরাণ' এখনো দর্শকদের পছন্দের তালিকায়। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যেই মুক্তি পাচ্ছে 'হাওয়া'। সবমিলিয়ে কী প্রত্যাশা করছেন?

চমৎকার অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি গত কিছুদিন ধরে। দর্শকদের এত ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে আছি। তারা আমাকে এতটা পছন্দ করবে বুঝতে পারিনি। এই ভালোবাসা সঙ্গী করেই আগামীতে আরো ভালো ভালো কাজ করতে চাই। এখন পর্যন্ত যতগুলো সিনেমায় অভিনয় করেছি, সিনেমার গল্প-স্ক্রিপ্ট ভালো লাগলে তবেই করেছি।

'পরাণ' দর্শকরা যেমন পছন্দ করছে 'হাওয়া' সিনেমাটাও তারা তেমন পছন্দ করবে। দুটি সিনেমাই আমার জন্য পরীক্ষা। একটা পরীক্ষার দেওয়ার পর আরেকটা পরীক্ষা।

একটা গোছানো পরিপূর্ণ টিম বলতে যা বোঝায় 'হাওয়া' ছিল তাই। 'সাদাসাদা কালাকালা' গানটা যেমন সব ধরনের মানুষ পছন্দ করেছেন, সিনেমাটিও মানুষ পছন্দ করবেন বলে আশা করছি।

'হাওয়া' সিনেমায় আপনার চরিত্র নিয়ে জানতে চাই?

এই সিনেমায় ইব্রাহিম নামের একটা চরিত্র অভিনয় করেছি। সিনেমার চরিত্রের বিস্তারিত এখনই প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। আমি খুব আশাবাদী 'হাওয়া' নিয়ে। শুধু ইব্রাহিম না চাঁদ মাঝিসহ সিনেমায় সবাই দারুণ করেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি চঞ্চল চৌধুরীর ভক্ত। তার সান্নিধ্যে থেকে প্রায় ৪৫ দিন অভিনয় করেছি, এটা অন্যতম  পাওয়া হয়ে থাকবে।

'পরাণ' সিনেমার সাফল্যের পর কেমন লাগছে?

প্রকৃতপক্ষে দর্শকদের ভালোবাসাই মূল প্রাপ্তি। তারা আছেন, এসেছেন, আসছেন বলেই এই সাফল্য ধরা দিয়েছে। যারা দেখেছেন, দেখছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মতামত দিচ্ছেন, তাদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।

'পরাণ' সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি দর্শকদের মনের কথা বুঝে সিনেমা বানাতে পারেন তার প্রমাণ দিয়েছেন। 'পরাণ' সিনেমার প্রিমিয়ারে অনেক পছন্দের মানুষ এসেছেন, সিনেমা দেখে এপ্রিশিয়েট করেছেন। আমার স্ত্রী পরীমনি সিনেমা দেখে খুবই পছন্দ করেছে, তার মতামত জানিয়েছে।

এছাড়া ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই, মিশা ভাই, শুভ ভাই, সিয়াম, মাহিয়া মাহি সিনেমা দেখে তাদের মতামত দিয়েছেন, এটা আমার জন্য বিরাট প্রাপ্তি।

সিনেমায় এলেন কেন?

টাকা পয়সা বাড়ি-গাড়ি বানানোর জন্য সিনেমায় আসিনি। আমার মনের খোরাক সিনেমা। ছোটবেলায় বাড়ির উঠোনে বসে বিটিভিতে সিনেমা দেখেছি। স্কুল-কলেজ পালিয়ে অনেক সিনেমা দেখা হয়েছে। সবকিছু সিনেমাকে ভালোবেসে।

আপনার আগামী সিনেমাগুলো সম্পর্কে জানতে চাই?

আমার পরের সিনেমা 'রক্তজবা'। এরপরে আছে 'কাজলরেখা', দেয়ালের দেশ' ও 'দামাল'।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago