নোয়াখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ

নোয়াখালী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর সেনবাগের নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের তা'লীমুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল ফাত্তাহর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ১০ জন আবাসিক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকদের চাপের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার গুলো নিয়ে তা'লীমুল কুরআন মাদ্রাসায় একটি সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ওই বৈঠকে ২০-৩০ জন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের কথা গোপন রাখা হয়। কিন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারায় ঘটনাটি আজ জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার অজুহাতে তা'লীমুল কুরআন মাদ্রাসার আবাসিক ৮-১০ জন ছাত্রকে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল ফাত্তাহ রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তার অফিস ও ব্যক্তিগত কক্ষে বলৎকার করে। ওই শিশুরা পরে বাড়ি গিয়ে মাদ্রাসায় ফিরতে অস্বীকার করলে বলাৎকারের কথা জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে গত শনিবার সকালে মাদ্রাসায় সালিশী বৈঠক করেন অভিভাবকরা।

পরে মাদ্রাসায় থাকা আবাসিক ছাত্রদের অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করান বেশ কয়েকজন অভিভাবক।

মাদ্রাসার সভাপতি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়েছেন। মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগ শিগগির বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব বলেন, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়ে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার হয়েছে। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ঘটনাগুলো তদন্ত করা হবে।

এক শিক্ষার্থীর দাদা রমজান আলী অভিযোগ করে বলেন, ওই লম্পট মাওলানা তার ৯ বছরের নাতিসহ কমপক্ষে ১৫ জন শিশুকে ধর্ষণ করেছেন। আমি তার শাস্তি চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল ফাত্তাহকে ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘনটাটি অনেক আগের। ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে অনেক আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে বলৎকারের ঘটনা তখন কেউ পুলিশকে জানায়নি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি।
 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

9h ago