‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করলেও আমাদের দমাতে পারেনি’

 গ্যাস সংকট
নসরুল হামিদ। ফাইল ফটো

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করলেও আমাদেরকে দমাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করলেও আমাদেরকে দমাতে পারেনি। এই বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও আমরা জ্বালানি তেল, গ্যাস ও এলপিজির সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে পেরেছি।'

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'একটু ধৈর্য্য ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। আমরা যে কোনো সংকটকেই মোকাবিলা করতে পারব। বর্তমান সংকট সাময়িক। খুব দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে।'

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের জাতীয় জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন ৯ আগস্ট। এর একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য এই যে, আমাদের জাতীয় উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধিকে বদলে দেওয়ার মতো একটি ঘটনা ঘটেছিল এদিন। ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুজাতিক শেল অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র— তিতাস, বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, রশিদপুর ও কৈলাশটিলা মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং দিয়ে কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। যার সুফল এখনো পাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। সেই ৫টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখনো আমরা মোট গ্যাসের প্রায় ৩০ শতাংশ পাচ্ছি।'

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, 'জ্বালানির দক্ষ, সাশ্রয়ী ব্যবহার ও বহুমুখীকরণ জ্বালানি নিরাপত্তায় কার্যকর অবদান রাখবে।'

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস ও ধৈর্য্য ব্যাখ্যা করে বলেন, 'জাতির পিতার হত্যার মাধ্যমে তার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকেও হত্যা করা হয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Once a lifeline, Labondaho now a curse

Abdul Aziz once harvested rice in abundance from his fields next to Labondaho, once a picturesque river located in Indrapur, Gazipur’s Sreepur. Today, he stands on cracked earth, nursing losses and lamenting poisoned waters.

14h ago