জোয়ার ও বৃষ্টিতে বিপৎসীমার ওপরে বরিশাল বিভাগের নদ-নদীর পানি

আজ রোববার বরিশালের কীর্তনখোল নদী থেকে তোলা। ছবি: টিটু দাস

জোয়ার ও বৃষ্টিতে বরিশাল বিভাগের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, টানা ৬ দিনের উচ্চ জোয়ার ও প্রবল বৃষ্টিতে নদীর পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিষখালী নদী পাথরঘাটা পয়েন্টে রোববার দুপুর পর্যন্ত বিপৎসীমার ১.২৫ মিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র দাস জানান, শনিবার রাত পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সে.মি. ওরে, তেতুলিয়া নদী ভোলার খেয়াঘাট পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদী দৌলতখান পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন পয়েন্টে ১১৫ সেন্টিমিটার, পায়রা নদী মীর্জাগঞ্জে ৩১ সেন্টিমিটার ও বরগুনায় বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছ। ইতোমধ্যে বরগুনার ফেরিঘাট ডুবে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছ।

পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভোলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় সব চর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে বাঁধ উপচে কোথাও পানি ওঠেনি।

ভোলা সদর উপজলো নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, রাজাপুর ও ধনিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২৫-৩০ হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছে।

ভোলা জেলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজলো নির্বাহী অফিসার আল আমিন জানান, মনপুরা উপজেলার ১ লাখ ৭৯ হাজার মানুষরে মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ উচ্চ জোয়ারে প্লাবিত হয়ে সমস্যায় পড়েছে। মনপুরা উপজলোর ৩০ হাজার একর বনভূমি আছে, এসব বনভূমির কোথাও কোথাও ৮-১০ ফুট জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ জানান, দৌলতখান ও সদরসহ বিভিন্ন এলাকার পুকুর ডুবে মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হলেও ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, কীর্তনখোলা নদী উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদী বন্দরে ২ নম্বর সর্তকতা সংকেত দেখানো হয়ছে। এর ফলে ৬৫ ফুটের নিচে স্থানীয় রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে।

গত কয়কে দিনের টানা বৃষ্টিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার পলাশপুর, আমানতগঞ্জ, কলেজ রোড, অক্সফোর্ড মিশন রোড, বটতলাসহ নিম্নাঞ্চল ১-৩ ফুট পানিতে তলিয়ে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক রিদয়েশ্বর দত্ত জানান, এখন পর্যন্ত আমন ধানের জন্য এই বৃষ্টি আতঙ্কজনক নয়। তবে যেখানে পানি জমে আছে সেখানে আমন ধান একটু দেরিতে লাগাতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago