চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে বগুড়ায় কৃষকদের সড়ক অবরোধ

গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন কৃষকরা। ছবি: সংগৃহীত

চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন কৃষক। পরবর্তীতে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং কৃষকরা তাদের অবরোধ তুলে নেন।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় শতাধিক কৃষক ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরকারি খাদ্য গুদাম সংলগ্ন সরকারি সারের ডিলার শামীম সরকারের দোকানের সামনে বগুড়া-ধুনট (বাইপাস) সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন। পরবর্তী

কৃষকের দাবি, খোলা বাজারে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ইউরিয়া ও অন্যান্য সারের দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ কারণে তারা ডিলারের দোকানে সকাল থেকে লাইন দিয়েও প্রয়োজন অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। কারো ৩ বস্তার চাহিদা থাকলে ডিলার দিচ্ছেন এক বস্তা। এই কারণে তারা রাস্তা অবরোধ করেছেন।

কৃষক জামাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লাইনে দাঁড়িয়েও ডিলারের দোকানে চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছি না। আমি ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি, এখনো সার দিতে পারিনি। খোলা বাজারে বস্তা প্রতি সারের দাম ১০০-৩০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ডিলারের দোকানে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু সার দিচ্ছে মাত্র এক বস্তা।'

কৃষক মমিন ইসলাম বলেন, '৩-৪ দিন ধরে ডিলারের দোকানে ঘোরাঘুরি করে সার পেয়েছি মাত্র এক বস্তা। কিন্তু প্রয়োজনীয় সার না পেলে ধানের ফলন হবে না।'

রাস্তা অবরোধের এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা। তারা কৃষকের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষকের এক ধরণের ভয় কাজ করছে যে তারা সার পাবেন না। এই কারণে তারা রাস্তায় এসেছেন। তবে সারের কোনো সংকট নেই। এই মাসে আমাদের উপজেলায় ইউরিয়া বরাদ্দ এসেছে ৮৯০ টন। তবে আমি আগামী মাসের জন্য প্রায় এক হাজার ১০০ টন ইউরিয়ার চাহিদা দিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভাগ করে সার দিচ্ছি। আজকে ৪০০ বস্তা ইউরিয়া সার দেওয়ার কথা ছিল একটি ওয়ার্ডের কৃষকদের, কিন্তু অন্য ওয়ার্ডের কৃষকরাও এসে ভিড় করছে। আমি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।'

খোলা বাজারে সারের দাম বেশি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, 'আগে সাব ডিলারের মাধ্যমে সার দেওয়া হতো। এবার শুধুমাত্র ডিলারের মাধ্যমে সার দেওয়া হচ্ছে। তারপরও যদি কোথাও সারের দাম বেশি নেয় তাহলে আমরা অভিযান চালাবো।'

এ বিষয়ে কথা বলতে সারের ডিলার শামীম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

15h ago