স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের অনশন, সড়ক অবরোধ

তিতুমীর কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে অনশনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী। 

গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে 'তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন' ব্যানারে তারা এ অনশন শুরু করেন।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। 

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা; অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীদের আবাসিক খরচ বহন; ২০২৪-২৫ সেশন শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত ন্যূনতম দুটি বিষয় আইন এবং সাংবাদিকতা বিষয় সংযোজন; একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ; শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

এ বিষয়ে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ ইসলাম অনিক জানান, 'আমাদের পাঁচজন শিক্ষার্থী গতকাল থেকে আমরণ অনশন করছেন। আজ আমরা রাজপথে নেমেছি। আমাদের দাবি মূলত একটাই, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই। তবে আমাদের আরও কিছু দাবি রয়েছে। সরকার এগুলো মেনে না নিলে আমরা অনশন-বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।'

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আফিয়া অর্নি বলেন, 'কিছুদিন আগে আমরা জেনেছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের আবাসন খরচ বহন করা হবে। তাহলে আমরা কেন এমন সুবিধা পাব না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই কেবল শিক্ষার্থী, আমরা কি শিক্ষার্থী নই। এ ধরনের বৈষম্য নিরসনের জন্যই আমরা আন্দোলন করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

12h ago