কোচ-রাজবংশী-বর্মণদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি

দেশের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত কোচ, রাজবংশী ও বর্মণদের স্বীকৃতি সনদ বা প্রত্যয়নপত্র দেওয়া ও তাদের হয়রানি বন্ধসহ ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও মানববন্ধন
ছবি: স্টার

দেশের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত কোচ, রাজবংশী ও বর্মণদের স্বীকৃতি সনদ বা প্রত্যয়নপত্র দেওয়া ও তাদের হয়রানি বন্ধসহ ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় বাংলাদেশ কোচ-রাজবংশী-বর্মণ সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এসব দাবি জানানো হয়।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আইন ২০১০ অনুযায়ী উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে বসবাসরত কোচ ও বর্মণদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মানববন্ধনে বক্তারা জানান, পরবর্তীতে সে অনুযায়ী এই ২ জেলায় বসবাসরত কোচ ও বর্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত 'রায়', 'বর্মণ', 'সিংহ' পদবী ব্যবহারকারীদের স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সনদ পেয়ে আসছিলেন।

তাদের অভিযোগ, অজ্ঞাত কারণে গত প্রায় ৬-৭ মাস ধরে উপজেলা প্রশাসনে প্রত্যয়নপত্রের আবেদন করলে তা সরবরাহ না করে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।

বক্তারা এই সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।

বাংলাদেশ কোচ-রাজবংশী-বর্মণ সংগঠনের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বকুল চন্দ্র বর্মণ।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—সংবিধান অনুযায়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত, তাদের ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ, সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভূমি সমস্যা সমাধানে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, তাদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে আবার কোটা চালু করা।

পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আইন অনুসারে এই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মানুষদের এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র দেওয়া গড়িমসির সুযোগ নেই। তাদের অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

এর আগে শহরের অপরাজেয়-৭১ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

Comments