‘৫২ বছর পর ভোটাধিকারের জন্য লড়ার চেয়ে দুর্ভাগ্য কিছুই হতে পারে না’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বিপুল সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে রাষ্ট্র কায়েম হয়েছে, সেই দেশে ৫২ বছর পর ভোটাধিকারের জন্য লড়তে হচ্ছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না।

আজ সোমবার দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের ২ দশক ও রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, 'যে রাষ্ট্র, যে দেশ প্রতিষ্ঠিত করতে লাখ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, নারী ও শিশুদের নির্যাতিত হতে হয়েছে, বিপুল সংগ্রাম ও আত্নত্যাগের মধ্য দিয়ে যে রাষ্ট্রটি কায়েম হলো, সরাসরি লড়াই হলো গণতন্ত্রের জন্য—সেই দেশে আজ ৫২ বছর পর আমাদের ভোটাধিকারের জন্য লড়তে হচ্ছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকার ভয়ের রাজত্ব তৈরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু সরকার এটা ভুলে গেছে, ইতিহাসে এই ভয়ে বেশিদিন টিকিয়ে রাখা যায় না। বরং ভয় তৈরি করা জন্য যখন সরকার এইভাবে বল প্রয়োগ করতে থাকে, তখন স্পষ্ট বোঝা যায় সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই।'

'সরকার যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে মূল্যস্ফীতিকে আরও কীভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। তারা তেল, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের নাভিশ্বাস তুলছে। গরিব মানুষকে একটা না খাওয়া পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে', যোগ করেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, 'সরকারের ছায়াতলে থাকা ক্ষমতাবানরা আজকে ক্ষমতা ব্যবহার করে ধনসম্পদ লুট করছে, বিদেশে পাচার করছে। সরকার ঠিকমতো খোঁজও নিচ্ছে না।'  

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাঈম বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য রহমান মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago