হত্যা মামলা রুজু না করায় সিংড়ার ওসিকে আদালতে তলব

নাটোর
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

নাটোরে দেরিতে মামলা নেওয়া ও মারামারিতে ১ জন নিহত হওয়ার পরও অভিযোগপত্রে হত্যা মামলার ধারা উল্লেখ না করার কারণ জানতে চেয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও অপর এক পরিদর্শককে তলব করেছেন নাটোরের আদালত।

আদালতের দেওয়া আদেশের কপি আজ বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ওসি নূরে আলম।

তিনি বলেন, 'আজ আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়েছি।'

এর আগে গত মঙ্গলবার সিংড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ ওসি ও পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার আইও মো. রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজিরের আদেশ দেন।

সিংড়া আমলি আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. শহীদুজ্জামান ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. সাইদুর রহমান সৈকত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে রিপন আলী (৩০) ও আজিজুলের (৫৫) মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ২১ মে আজিজুল ইসলাম তার ছেলেদের নিয়ে রিপনের জায়গা দখল করতে যান। সে সময় বাধা দিতে গেলে রিপনের ওপর আজিজুল ইসলাম ও তার ছেলেরা হামলা করেন।'

তিনি আরও বলেন, 'রিপনকে উদ্ধারের সময় তার বাবা আব্দুল খালেক গুরুতর জখম হন।'

আইনজীবী মো. সাইদুর রহমান সৈকত জানান, আব্দুল খালেককে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও ওই দিনই সিংড়া থানায় মামলা করেন আব্দুল খালেকের ছেলে রিপন আলী। থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করতে বলে।

গত ২৭ মে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন আব্দুল খালেক। এরপর আবারো অসুস্থ হলে তাকে গত ৫ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জুন আব্দুল খালেক মারা যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আব্দুল খালেক মারা যাওয়ার পর সিংড়া থানার ওসি মামলা নেন। গত ৯ জুন ময়নাতদন্ত ছাড়াই আব্দুল খালেকের দাফন হয়।

মামলাটির তদন্ত শেষে মারামারি ঘটনা উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও আব্দুল খালেকের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম।

পুলিশের অভিযোগপত্রে হত্যার কথা না থাকায় নিহতের স্ত্রী নিলুফা বেগম আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সিংড়া থানায় মামলা নিতে দেরির কারণ জানতে এবং আব্দুল খালেকের মারা যাওয়ার পরও কেন হত্যার বিষয়টি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়নি আগামী সে বিষয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হয়ে ওসি নুরে আলম ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলামকে লিখিত ব্যাখ্যার আদেশ দেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Air freight capacity to increase

The move comes as Bangladesh's garment exporters face a major challenge in handling urgent international shipments after India abruptly closed a widely-used air cargo transhipment route

10h ago