বাংলাদেশ

মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশকে (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ফাইল ফটো

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশকে (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

রাখাইন রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় যুদ্ধ চলছে এবং সেখান থেকে মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে উল্লেখ করে তিনি জানান, সরকার কূটনৈতিক সম্প্রদায়কে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার পরিকল্পনা করছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, 'এবার আমাদের কাছে তথ্য আছে। আমাদের সংস্থাগুলো আরও ভালভাবে প্রস্তুত। বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যেন মিয়ানমারের একজন নাগরিকও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।'

গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টার শেল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে এসে পড়ে।

এর ২ দিন পর মঙ্গলবার মিয়ানমার থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় গুলি ছোড়া হয় বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন।

এছাড়াও, সেদিন মিয়ানমারের একটি হেলিকপ্টার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে বাইশফাঁড়ি সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের আকাশসীমার ৩০০-৪০০ গজ ভেতরে অনুপ্রবেশ করে।

আগস্টের শুরু থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়।

তবে এ সময়ে মিয়ানমার কোনো আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে ইতোমধ্যে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বুঝতে পারছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আমরা বলেছি এটা যেন বাংলাদেশে প্রভাব না ফেলে।'

তিনি বলেন, 'রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা আবার বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ সালের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা নেই, কারণ তখন বাংলাদেশ মানবিক কারণে তাদের প্রতিরোধ করতে চায়নি।'

শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, 'বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন করা অনেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিয়েছে।'

তিনি বলেন, 'অতীতে যখন আন্তর্জাতিক চাপ ছিল তখনই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।'

'আমরা রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাইয়ের কাজ করছি। মিয়ানমার আবারও নিজে থেকেই আমাদের সঙ্গে বৈঠক করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বৈঠকের তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

12h ago