সাভার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত

সাভার
ছবি: স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

একাধিক অভিযোগে সাভার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাবশিরা ইসলাম লিজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার  সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমানের সই করা এক আদেশে মামলার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আজ শনিবার বিকেলে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, 'অফিস চলাকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাবশিরা ইসলাম লিজার মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর বাসায় সাক্ষাতের জন্য যাওয়া অপেশাদারসুলভ আচরণ। সরকারি কর্মচারী হয়ে অফিসে অভ্যাসগত দেরিতে আসা এবং অফিস সময়ে একজন সরকারি কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা শৃঙ্খলার পরিপন্থি। এটি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ। তার এমন আচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।'

এদিকে সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তাবশিরা ইসলাম লিজা ২টি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা আজ দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ম্যাডাম (তাবশিরা ইসলাম লিজা) গত ৬ বছর ধরে সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত। তিনি এখনও অফিসে আসেন। ম্যাডাম ২টি বেসরকারি টেলিভিশনে কয়েকদিন সংবাদ উপস্থাপন করেছিলেন, যেটা আসলে তিনি পারেন না।'  

এসব বিষয়ে জানতে সাভার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাবশিরা ইসলাম লিজার ফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি গত ৩ দিন আগে অফিসে জয়েন করেছি। বিষয়টি জানি না। জেনে বলতে পারব।'

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি শুনেছি শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ‍রুজুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অফিসিয়ালি এখনও জানানো হয়নি।'

শিক্ষা কর্মকর্তা তাবশিরা ইসলাম লিজা ২টি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপন করতেন বিষয়টি নজরে এসেছে কি না জানতে চাইলে মাজাহারুল ইসলাম বলেন, 'তিনি নিয়মিত সংবাদ উপস্থাপন করতেন, এটা আমরা দেখেছি। যদি সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া হয়, তাহলে অন্য চাকরি করা যায় না। এখন তিনি এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছিলেন কি না সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago