পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড

আগের ম্যাচেই বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের রেকর্ড জুটিতে অসাধারণ এক গল্প লিখেছিল পাকিস্তান। ২০০ রানের লক্ষ্যে তারা জিতেছিল ১০ উইকেটে। এদিনও জয়ের জন্য তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল এমন কিছুরই। কিন্তু হতাশ করেছেন তারা। এক শান মাসুদ ছাড়া লড়তে পারেননি কেউই। ফলে ইংল্যান্ডের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে ফের পিছিয়ে গেল পাকিস্তান।

আগের ম্যাচেই বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের রেকর্ড জুটিতে অসাধারণ এক গল্প লিখেছিল পাকিস্তান। ২০০ রানের লক্ষ্যে তারা জিতেছিল ১০ উইকেটে। এদিনও জয়ের জন্য তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল এমন কিছুরই। কিন্তু হতাশ করেছেন তারা। এক শান মাসুদ ছাড়া লড়তে পারেননি কেউই। ফলে ইংল্যান্ডের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে ফের পিছিয়ে গেল পাকিস্তান।

শুক্রবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬৩ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২১ রান করে তারা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ইংলিশ পেসারদের তোপে এদিন শুরু থেকেই কোণঠাসা পাকিস্তান। দলীয় ১৭ রানেই ফিরে আসেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর। মার্ক উডের বলে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৮ রানে। স্কোরবোর্ডে আর ৪ রান যোগ হতে ফিরে যান রিজওয়ানও। রিস টপলির হয়ে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকেও আসে ৮ রান।

পরের ওভারে ফিরে স্বাগতিকদের বিপদ আরও বাড়ান উড। হায়দার আলীকে ফেরান তিনি। ইফতেখার আহমেদও পারেননি দায়িত্ব নিতে। ফলে দলীয় ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে তারা। এরপর খুশদিল শাহর সঙ্গে দলের হাল ধরেন মাসুদ। ৬২ রানের জুটি গড়ে চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তারা। এ জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। খুশদিলকে ফেরান তিনি।

এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে ৫২ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মাসুদ। তবে রানের গতি সে অর্থে সচল রাখতে পারেননি। শেষ দিকে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এক সময় ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মাসুদ। ৪০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। খুশদিল করেন ২৯ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন উড। ৩২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান রশিদ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানেই ওপেনার ফিল সল্টকে হারায় ইংল্যান্ড। তবে আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ডেভিড মালানের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন। এরপর ২১ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটারকে ফেরান লেগস্পিনার উসমান কাদির।

এরপর বাকীটা কেবলই পাকিস্তানের হতাশার গল্প। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক। এ দুই ব্যাটার তাণ্ডব চালিয়ে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১৩৯ রানের জুটি। তাতেই বিশাল পুঁজি পায় সফরকারীরা।

মাত্র ৩৫ বলে ৮১ রানের হার নামা বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন ব্রুক। নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। কম যাননি ডাকেটও। ৪২ বলে করেন অপরাজিত ৭০ রান। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। পাকিস্তানের পক্ষে ৪৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান কাদির।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago