বাউফলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে ৬ শতাধিক নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চালের নামের তালিকা থেকে পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ছয় শতাধিক দরিদ্র ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে বাউফলে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন। ছবি: স্টার

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চালের নামের তালিকা থেকে পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ছয় শতাধিক দরিদ্র ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। দুপুর সোয়া একটার দিকে বাউফল প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন এবং উপজেলা চত্বরে অবস্থান নেন।

বিকেল ৩টার দিকে ইউএনও আল আমিন এসে বাদ পড়া দরিদ্রদের নাম অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস দিলে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে বলেন, উপস্থিত সবার নাম, ঠিকানা ও কার্ড নম্বর লিখে রাখছি।

তিনি আরও বলেন, নওমালা ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরে চালের সুবিধাভোগীদের তালিকায় ১ হাজার ৩২৭ জনের নাম আছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে অনলাইনে নাম তুলতে বলা হয়েছে। কাউকে বাদ দেওয়ার জন্য বলা হয়নি।

তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া শেফালী বেগম (৫০) বলেন, 'খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনো তালিকায় আমার নাম নেই। তবুও আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগের ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক মনে করে বর্তমান চেয়ারম্যান এ কাজটি করেছেন।'

শেফালী বেগম (৭০) বলেন, তার কার্ড নম্বর ১৯৬। জমিজমা কিছুই নাই। এক সময় থাকতেন সরকারি আবাসনে। এখন থাকেন অন্যের বাড়িতে। ভিক্ষা করে সংসার চালান। ১০ টাকা কেজি দরে চালের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

একইভাবে বাদ পড়েছেন রিকশা চালক মো. শাহজাহান (কার্ড নম্বর ১০০৮), লালন ঘরামি (কার্ড নম্বর ৫৮৫), মোসা. কদবানু (কার্ড নম্বর ৬৯০), সোনে আলী মৃধা (কার্ড নম্বর ৬১০), চেরাগ আলী আকন (কার্ড নম্বর ১৩১৯), আমেনা বেগম (কার্ড নম্বর ১০২৭), আবদুর রহমান খান (কার্ড নম্বর ১০), বিধবা মোমেলা বেগম (কার্ড নম্বর ১১২৮), শাহজাহান (কার্ড নম্বর ১০০৮), আলমগীর মাতব্বরসহ (কার্ড নম্বর ৬৫৫) কয়েকশ দরিদ্র ব্যক্তি।

এ বিষয়ে নওমালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, 'পূর্বের চেয়ারম্যান অবৈধভাবে ১০ টাকা কেজি দরে চালের তালিকা করেছেন। যাদের নাম ভিজিডি, ভিজিএফ, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ও বয়স্কভাতায় রয়েছে এ রকম প্রায় ৫০০ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago