ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুরি হওয়া ইভিএমের মনিটরসহ গ্রেপ্তার ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম থেকে চুরি হওয়া নির্বাচন অফিসের ইভিএম মনিটর ও ব্যাটারিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'আজ ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের হেফাজত থেকে ৩০টি ওয়ালটন মনিটর, ২টি মনিটরের ব্যাটারি, ৪টি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।'
গ্রেপ্তাররা হলেন- কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী, একই উপজেলার মূলগ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪৩), কসবার বগাবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান (৩৪), একই উপজেলার ধজনগর গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর মো. মাসুদ (২৩)।
ওসি জানান, গত কসবা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে উপজেলা অডিটোরিয়ামের হলরুমে ইভিএমের কম্পিউটারসহ কিছু যন্ত্রপাতি রাখা হয়। সেখান থেকে ৩৯টি মনিটর ও ব্যাটারিসহ কিছু যন্ত্রাংশ চুরি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে গত ২৩ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ৩৯টি মনিটর, ১০টি মনিটরের ব্যাটারি ও ১০টি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি চুরি হয়। পরে ওই মামলার সূত্র ধরেই অনুসন্ধানে নামে পুলিশ।
কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, পুলিশ কসবার ইমাম পাড়ায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে মাহফুজ রহমানকে ১৭টি ওয়ালটন মনিটর, ২টি মনিটরের ব্যাটারি ও ২টি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারিসহ আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে মাহফুজের নিজ বাড়ি থেকে আরও ১৩টি ওয়ালটন মনিটর ও ২টি কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। এরপর তার কাছ থেকে জানতে পেরে পুলিশ মনিটর ও ব্যাটারি সরবরাহকারী ১ কিশোরকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, ওই কিশোরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগী মাসুদকে আটকের পর জানা যায়, উপজেলা পরিষদ পুরাতন মিলনায়তন থেকে নির্বাচন অফিসের একজন কর্মচারী এসব মালামাল চুরি করে তাদের কাছে পৌঁছে দেয়। পরে তারা এসব সামগ্রী মাহফুজুর রহমানের কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলীকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
Comments