পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

এবার ৩ মাস ১ দিন পর দান বাক্সগুলো খোলা হলো। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তা গণনা চলছে।

আজ কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী ও নাবিলা ফেরদৌস দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানান, টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জ রুপালি ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এর আগে গত ২ জুলাই ৩ মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এবার ৩ মাস ১ দিন পর দান বাক্সগুলো খোলা হলো।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ শনিবার সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। সেগুলো খুলে গণনার জন্য ১৫টি বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে। বর্তমানে গণনার কাজ চলছে।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবীর অনুদান দেওয়া হয়েছে এ দানের টাকা থেকে।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্মাণের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

মসজিদটিতে মোট ৮টি লোহার দানবাক্স আছে। প্রতি ৩ মাস পর পর এগুলো খোলা হয়। এবার ৩ মাস ১ দিন পর আজ এগুলো খোলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Why was July 2025 wetter in Bangladesh?

Bangladesh experienced three low-pressure systems on July 7, July 14 and July 24 which led to heavy rain

25m ago