পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা
আজ শনিবার পাগলা মসজিদের নয়টি লোহার দানবাক্স খোলা হয় | ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের নয়টি লোহার দানবাক্সে পাওয়া ২৮ বস্তা টাকা গণনা শেষ হয়েছে।

এবার সাত কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা
ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গণনা করে সাত কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। তিন মাস ২৬ দিন পর দানবাক্স খুলে এই টাকা পাওয়া গেল। এছাড়া দানবাক্সে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।'

এর আগে গণনায় অংশ নেন মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ৩৫০ জনের একটি দল।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা
ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম।

এদিন কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

চলতি বছরের গত ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো থেকে সাত কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকা ছাড়াও সেবার বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিল দানবাক্সে।

দান থেকে পাওয়া এই অর্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।

মসজিদটিতে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ করা হয়েছে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Price war in the garment sector: Exporters fear a race to the bottom

With China, Vietnam and Cambodia vying for market share, Bangladeshi exporters fear a race to the bottom on prices -- one they may not win

10h ago