অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তৎপর: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে দেশে একটি স্বার্থান্বেষী, সুবিধাবাদী ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী খুবই তৎপর। তারা সাম্প্রদায়িক চেতনা ও ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করে ক্ষমতায় আসতে চায় এবং দেশের মানুষকে শোষণ-শাসন করতে চায়।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে দেশে একটি স্বার্থান্বেষী, সুবিধাবাদী ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী খুবই তৎপর। তারা সাম্প্রদায়িক চেতনা ও ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করে ক্ষমতায় আসতে চায় এবং দেশের মানুষকে শোষণ-শাসন করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, 'এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এই শারদীয় দুর্গোৎসবে সবাইকে সম্মিলিতভাবে শপথ নিতে হবে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা প্রতিহত-প্রতিরোধ করব ও বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করব।'

আজ সোমবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে গতকাল রাতে তিনি মধুপুর উপজেলায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'পূজা হিন্দুদের হলেও উৎসবটা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের, সব মানুষের। এ শারদোৎসবে আসুন আমরা শপথ নিই, সব অন্যায়-অবিচার, শোষণের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। সব মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিয়োজিত থাকব এবং যে কোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখব।'

দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।  

পরিদর্শনকালে ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম হোসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জরুল ইসলাম তপন এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments