নরসিংদীতে পুলিশের ওসি পরিচয়ে টাকা দাবি

নরসিংদীতে পুলিশ পরিচয়ে ২ জনকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নগদ অ্যাপসের মাধ্যমে ৩১ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা পলাশ থানায় জিডি করেছেন। 
নরসিংদীর ১ কেন্দ্রে ভোট বাতিল

নরসিংদীতে পুলিশ পরিচয়ে ২ জনকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নগদ অ্যাপসের মাধ্যমে ৩১ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা পলাশ থানায় জিডি করেছেন। 

গতকাল রোববার বিকেলে পলাশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশিক্ষক সালমা সরকার ও একই অফিসের কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে কল করে এই টাকা দাবি করা হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, পলাশ থানার ওসি পরিচয়ে তাদের ফোন করে বলা হয় যে ভুল করে তাদের বিকাশ নম্বরে টাকা চলে গেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই টাকা ফেরত না দেওয়া হলে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা জানিয়ে পলাশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা পারভীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাটি ওই দুজন আমাকে জানালে তাদের থানায় জিডি করার পরামর্শ দেই।' 

ভুক্তভোগী সালমা সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার বিকেলে অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইনের নামে একজন ফোন করেন। সে সময় তিনি ফোনে বলেন যে ভুল করে আমার নম্বরে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা এসেছে। এই টাকা আমাকে নগদের মাধ্যমে ফেরত পাঠাতে বলা হয়।'

'টাকা ফেরত না দিলে আমাকে নাকি পুলিশ ফোর্স দিয়ে তুলে নেবে। তিনি ফোনে আমাকে হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন,' বলেন সালমা।

একই দিন বিকেলে একই অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানকেও পলাশ থানার ওসি পরিচয়ে একই নম্বর থেকে কল করে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকেও একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগকারীদের যে নম্বর থেকে কল দেওয়া হয়েছে, সেটি আমার নয়। আর আমি কেনই বা তাদের টাকা পাঠাতে বলব।' 

'যে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেছে, আমরা ফোন ট্র্যাক করে দেখেছি, সেই নম্বরটি রাঙ্গামাটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা তাকে আটক করার চেষ্টা করছি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Road Surface Melting: Bargain bitumen failing to bear extreme heat

As the country is baking in heatwave, road surfaces in several districts have melted due to what experts say is the use of bitumen that cannot withstand this extreme heat.

5h ago